Doklam: সীমান্ত সমাধানে চীন ঘেঁষা ভুটান, ডোকলাম ইস্যুতে চাপে পড়ল ভারত! কী চাইছে শত্রু দেশ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Doklam: চীনের (China) যেন ছলচাতুরির শেষ নেই। কিভাবে ভারতের সীমান্ত (Indian Border) টপকানো যায় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে। এখন ভারতের দুয়ারে চলে এসেছে বেজিং। ঘাঁটি গড়তে চাইছে ডোকলামে (Doklam)। বানিয়ে ফেলেছে গ্রাম। যা নয়া দিল্লির কাছে বড় চ্যালেঞ্জের সমান। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিউ দিল্লি যখন এক উপগ্রহ চিত্র দেখে তখন রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে ডোকলাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে চীন আস্ত একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে। ভুটানের ভূখণ্ডে তৈরি হয়ে গিয়েছে চীনা গ্রাম পাংদা। তখনই প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি চীন গোটা ভারতকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলতে চাইছে? ২০১৭তে শুরু ডোকলাম (Doklam) সমস্যা, যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এখন ভুটানকে (Bhutan) চাপে রাখতে নতুন প্যাঁচ কষছে ড্রাগনের দেশ।

সীমান্ত সমাধানে চীন ঘেঁষা ভুটান!

সম্প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডোকলাম ইস্যুতে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায় এই সীমান্ত সমাধানে নাকি চীনেরও সমান অধিকার রয়েছে। ডোকলাম ইস্যুতে চীনের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভুটান। চীন ঘেঁষা ভুটানের মন্তব্যে চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চীন মুখোমুখি অবস্থানের প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ভুটান সীমান্তে চীন বারংবার চেষ্টা করেছে নতুন করে জনপদ তৈরি করার। যার কারণে ভারত সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে, তবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনেকটা চীন ঘেঁষা। সমাধানে ত্রিপক্ষ বৈঠক করার আবেদন জানান। ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্ত উত্তপ্ত হয়েছিল চীন আর ভারতীয় বাহিনীর বিবাদে। প্রায় ৭৪ দিন রণসজ্জায় মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। তারপর ধীরে ধীরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়, কিন্তু সমস্যা মেটেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীন যদি একবার শিলিগুড়ি পর্যন্ত রাস্তা পেয়ে যায় তাহলে ভারতের অনেক কাছে চলে আসবে শত্রু দেশ। সমস্যা আরো গভীরে। ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ রয়েছে। তাই বারংবার সেদিকে নজর রেখেছে চীন। মনে করা হচ্ছে, এবার ভুটান চীনের হয়েই কথা বলছে।

চীনের চাপে ভুটান!

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এর মুখে শোনা যাচ্ছে অন্য সুর। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, তিনটে দেশের সীমান্তের কাছে অধিকার রয়েছে, কোন দেশ কিছু করতে পারবে না। কিন্তু এবার বললেন এক্কেবারে উল্টো কথা। কোথাও যেন তিনি চীনকেই সমর্থন করলেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, সীমান্তে চীনের অধিকার রয়েছে। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে যদি ভারত, চীন রাজি হয় তবেই ভুটান আলোচনায় বসবে। ডোকলাম সমস্যা সমাধানের দায় শুধুমাত্র ভুটানের নেই, এক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে তিনটি দেশ। আসলে ডোকলাম এলাকায় তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে। যার পশ্চিমে রয়েছে ভারতের সিকিম, দক্ষিণ পূর্বে ভুটান এবং উত্তরে চীনের চুম্বি উপত্যকা।

চীনের দাবি অনুযায়ী, ডোকলামের বাটাং লা এলাকার প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে থাকা জিপমোচি শৃঙ্গ আর ঝাম্পেরি পাহাড়ি অঞ্চল নাকি তাদের। কিন্তু ভারত বারংবার বলে এসেছে ওই অংশ চীনের নয় বরং ভুটানের। যদিও এখনো পর্যন্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর চাঞ্চল্যকর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সেভাবে কোন বিবৃতি জারি করা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, হয়ত ভুটান চীনের চাপের কারণে নিজের আগের অবস্থান থেকে পিছু হটছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version