।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের রক্ত শুষে খাচ্ছে এই খতরনাক ভ্যাম্পায়ার। আইসিইউ-তে চলে গেছে ড্রাগন ইকোনমি। ভুতুড়ে শহর গিলে খাচ্ছে দেশটাকে। রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বড়সড় ধস। বুড়িয়ে যাওয়াকে ভয় পাচ্ছে শি এর দেশ। এ কোন দিন এলো? বেজিং এর দানবীয় অর্থনীতির ভয়াবহ রুপ দেখছে গোটা বিশ্ব। ভারতের কোন ম্যাগনেটিক পাওয়ার টেনে নিচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে? জানুন কিভাবে হাহুতাশ করছে বেইজিং মাটি কামড়ে বেঁচে আছে চীন।আর ভারতের মাটিতে বুস্টার? চীনা ইকোনমিতে বাসা বেঁধেছে ঘুণপোকা। ভারতকে ছোঁয়ার সব চেষ্টা ফেইল করছে কেন জানেন? চীনা অর্থনীতির কালো দিন শেষ হওয়া এতো সোজা নয়। ফাঁকা পড়ে আছে বড় বড় আবাসন, লাখ লাখ ফ্ল্যাট। সোজা কথা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের হিস্যা দিয়ে চীনা ইকোনমিকে সমৃদ্ধ করার ছক ভেস্তে গেছে। চীনা রিয়েল এস্টেট খাত লিটারেলি ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর বাইরে চীনের আরও একটা বিভীষিকাময় ছবি সামনে উঠে আসছে। চীনা ইকোনমির এই ভাঙনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা। চীনের বৃদ্ধ কর্মশক্তি একটা বিশাল বড় নেগেটিভ পয়েন্ট।
মোদ্দা কথা, বৃদ্ধ বয়স হওয়ায় চীনে পেনশন প্রাপকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যা চীনা সরকারের উপর আর্থিক বোঝা দিনে দিনে বাড়াচ্ছে। এতে চীন বড় আর্থিক ক্ষতি ফেস করছে। সেই কারণেই, বাধ্য হয়ে চীনা সরকার সাধারণ মানুষকে বিয়ে করতে বলছে, সন্তান নিতে বলেছে এই জন্য সরকার অফারও দিচ্ছে। আসলে বার্ধক্যের কারণে চীনা শ্রমশক্তি এফেক্টেড হচ্ছে। এর ধাক্কা এসে লাগছে উৎপাদনে। সেখানে ভারত চীনকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ভারতে যুব কর্মীদের অভাব নেই।চীনকে চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আমাদের দেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। তাই বেজিং এর অর্থনীতির নিম্নমুখী গ্রাফে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। কারণ, এর এফেক্ট পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির উপরেও।বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আসলে গোড়ায় গলদ চীনের। কিভাবে? চীনে একসময় এক সন্তান নীতি চালু ছিল। ফলে জনসংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় চীন। কিন্তু, সেই এফেক্ট এখন চিনা অর্থনীতিতে স্পষ্ট। ক্রমাগত জনসংখ্যা কমে যাওয়া ও বার্ধক্যজনিত কর্মশক্তি চীনের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এক সন্তান নীতি বাতিল করা হয়েছে। এখন বিপাকে পড়ে উল্টে সন্তান নেওয়ার জন্য দম্পতিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
শুধু এক্ষেত্রে নয়। শি এর নীতি নির্ধারণেই যত ভুল স্পষ্ট রিয়েল এস্টেট এর ক্ষেত্রেও। আসলে, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে চীন সরকার নির্মাণশিল্পে হিউজ ইনভেস্টে্ক রেছিল। সাধারণ মানুষের হাতে কাঁচা টাকা তুলে দিতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল নির্মাণের মহাযজ্ঞ। সারি সারি বহুতল নির্মাণ করিয়েছিল। রাজপথ থেকে অলিগলি, শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ! বড় বড় আবাসন, বাড়ি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সবটা প্ল্যানমাফিক এগোয়নি। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বাড়িঘর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এত নতুন বহুতল তৈরি হয়েছে যে, সেখানে থাকার লোক নেই। সাধারণ মানুষ গাঁটের কড়ি খরচ করে সেখানে থাকার কথা ভাবছেনই না। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা না থাকায় মোটা টাকা খরচে কেউ এগিয়ে আসছে না। সবমিলিয়ে মার খাচ্ছে জিনপিংয়ের নির্মাণশিল্প। ফলে চীন জুড়ে শুধুই ভুতুড়ে শহর খা খা করছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, চীনা রিয়েল এস্টেট খাতের অবস্থা এতোটাই বিপজ্জনক যে বিদেশি কোম্পানিগুলো চীন ছেড়ে ভারত-সহ অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ খুঁজছে। কোম্পানিগুলোর এই মনোভাবে দেখা যাচ্ছে কাজের অভাব। ফলে বেকারত্বও বাড়ছে। তাহলে কী চীনের পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল হতে যাচ্ছে?
চিন সরকার নিজেদের তৈরি বহুতল নিজেরাই ভাঙতে বাধ্য হচ্ছে। একের পর এক বহুতল, আবাসন ভেঙে ফেলা হচ্ছে! বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে। ধসে যাচ্ছে নির্মাণশিল্পের মতো অর্থনীতির শক্ত পিলার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই সঙ্কট থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেরোনোর আশা নেই। বরং, আরও খারাপ দিন জিনপিংয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে। তাহলে কী যে চীন একের পর এক দেশকে ঋণ দিত, তাদের ঋণের ট্র্যাপে ফেলে ছড়ি ঘোরাতো, এবার সেই চীনের কপালেই ঘনিয়ে এল অশেষ দুঃখ?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম