চীনের গেম ওভার! কাড়ি কাড়ি টাকা আদানির পকেটে, যুক্তরাষ্ট্র খেলা ঘুরিয়ে দিল

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনকে শ্রীলঙ্কার বুকেই বড় ধাক্কা ভারত আমেরিকার। শ্রীলঙ্কায় বিছানো চীনের জাল কেটে দেওয়া হল আমেরিকা হাত খুলে এমন কিছু দেবে যা বেজিং ভাবতেও পারেনি। শ্রীলঙ্কায় আদানি পোর্টে কী হতে চলেছে জানেন? এই খবর একদল মানুষকে খুশি করলে একদল এতে খুশি নাও হতে পারেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল বা দূরদর্শি চিন্তাভাবনাটা করা এমূহুর্তে বেশি দরকার এমনটাই মনে করছেন ভারতের কূটনীতিবিদরা। শ্রীলঙ্কাকে তাহলে আর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভর করতে হবে না বেজিংয়ের ওপর? কারণ আমেরিকা এবার সেই সুযোগটা করে দিতে চলেছে। মনে রাখতে হবে শ্রীলঙ্কার আপত্তি সত্ত্বেও চীন তাদের গবেষণা জাহাজ পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার উপকূলে গবেষণার কাজ করছে। তবে এসব জোরজবরদস্তি বোধহয় আর বেশিদিন চলবে না।

কারণ চীনকে ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় থাকা আদানির বন্দরের ওপর বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করতে চলেছে মার্কিন সংস্থা। কিন্তু তাতে কীভাবে চীনের প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে? ঠিক কত বড় ইনভেস্টমেন্ট করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে শেয়ার রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। দ্য ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট বলছে এবার তাতে যোগদন করল আমেরিকা সরকারের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ফাইনান্স কর্প। সেখানেই বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করবে মার্কিন সরকারের এই এজেন্সি। আমেরিকা জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্নয়নমমূলক কার্যে যোগদান বাড়াতেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে এই বিনিয়োগ। চীনা বিনিয়োগে তৈরি হামবানতোতা বন্দর নিয়ে। গোড়া থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছে আমেরিকা এবার ভারতীয় মুদ্রায় আদানির বন্দরে চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন এটা কি বেজিংয়ের ইনভেস্টমেন্টের থেকেও বেশি?

সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় ৯৩০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। গত বছরের শেষ নাগাদ সেখানে চীনের মোট বিনিয়োগ ছিল ২২০ কোটি ডলার তবে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশ এত বিনিয়োগ করেনি শ্রীলঙ্কায় যে মার্কিন সংস্থা বিনিয়োগ করছে তার সিইও স্কট নাথান সাফ বলেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আরও সক্রিয় হতে চাইছে আমেরিকা। কারণ এই এলাকা থেকেই সারা বিশ্বের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখানেই রয়েছে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যা শ্রীলঙ্কার অনেক বড়সড় উন্নতি করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের একাধিকপত্য ঠেকাতেই যেমন এই উদ্যোগ তেমনই কলম্বোয় গভীর জলে ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনালে এই বিনিয়োগ। গোটা এশিয়ায় পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম বিনিয়োগ আমেরিকার। এই বন্দর একবার তৈরি হলে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ফের গতি পাবে একদিকে তেমনই ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য সম্পর্কও আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মানে যে নাগপাশে শ্রীলঙ্কাকে জড়িয়ে রেখেছিল বেজিং সেটা খুলে যাবে কলম্বোয় আসতে চলেছে সত্যিকারের সুদিন।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version