China’s dollar problem: চীনের অর্থনীতিতে বড় ধস! সতর্ক পাকিস্তান-বাংলাদেশ, ডলার সঙ্কটে চরম সিদ্ধান্ত জিনপিংয়ের

।। প্রথম কলকাতা ।।

China’s dollar problem: চীনের অর্থনীতিতে বড় ধস! চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল জিনপিংকে। ডলারের বিকল্প আনতে গিয়েই সর্বনাশ। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সতর্ক হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে এ কী অবস্থা। নিজেদের বাঁচানো না আমেরিকাকে ডোবানো কী চাইছে বেজিং? আমেরিকা পরের অর্থনীতিতেই চীন৷ তবে খুব জলদি চীনকে সরিয়ে ভারত বসে পড়বে না তো সেই জায়গায়। পাকিস্তানের এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।  চীনের থেকে কি আর কোনও সাহায্য পাবে বাংলাদেশ। চীনের পরিস্থিতি এমন শোচনীয় হল যে তাদের কিনা বেচে দিতে হচ্ছে ডলার? মারাত্মক গুঞ্জন চলছে চীনের অন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে৷ এমন কী ঘটে গেল? ভারতের শত্রুরা আজ নিজের চালেই জব্দ। সত্যিই কী বিদেশের তাবড় তাবড় কোম্পানি চীন ছেড়ে পালাচ্ছে? ডলারের সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান কীভাবে দেখছে চীনের এই ডাউনফল? চীনের প্রাচীরের ওপারে আসলে কী ঘটছে, বেজিংয়ের অন্দরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কী? কোনভাবেই যাতে তথ্য লিক না হয় জিনপিং সরকার তাতে সিদ্ধহস্ত।

অনেকেই বলছেন কোভিড তৈরি করে এখনও কোভিড পরবর্তী লস থেকে বের হতে পারেনি বেজিং। এটাই বোধহয় উচিত শিক্ষা। মিন্টের এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারা যাচ্ছে ক্রমশ কমছে চিনা মুদ্রা ইউয়ানের মূল্য। রয়টার্সের রিপোর্ট চিনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং বহির্বিশ্বে চিনের মু্দ্র ইউয়ানকে বাঁচাতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছেন শি জিনপিং। তাই বলে এবার এমন সিদ্ধান্ত? এই চিন ও রাশিয়া মিলেই। ডলারের আধিপত্য কমানোর প্রতিজ্ঞা করেছিল না? নাকি এখান থেকেই সেটার শুরু। বিশেষজ্ঞরা বলছে ইউয়ানের বাজারদর বাড়ানো এবং ডলারের প্রভাব কমানো দুটো রিস্ক কি একসঙ্গে নেওয়ার ক্ষমতা বর্তমান চীনের রয়েছে?

এই অবস্থার প্রকোপ শি-য়ের বিদেশনীতিতে পড়লে বড় ক্ষতি পাকিস্তানের৷ রিপোর্ট বলছে বর্তমানে ডলারের নিরিখে চীনা মুদ্রার মূল্য ৭.২৫ এর মানে এক ডলারের মূল্য ৭.২৫ চীনা ইউয়ানের সমান। সূত্রের খবর এই মানকে ভালো চোখে দেখছেন না বেজিংএর অর্থনীতিবিদরা। ৭.২৫-কে অর্থনৈতিক মানদণ্ডের মাপকাঠি মনে করেন চিনারা। তবে ইউয়ানের মূল্য যদি ডলারের সাপেক্ষে এর চেয়ে নীচে নেমে যায়, তবে তাকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরিস্থিতি বলে মনে করা হয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার চরম পদক্ষেপ নিতেই হল বেজিংকে। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, ইউয়ানের মূল্য হ্রাস আটকাতে গিয়ে বিদেশে ডলার বিক্রি করে দিচ্ছে তারা। কিন্তু এতে কী আরও বড় ধস নামতে পারে চীনের ইকোনমিতে? গত নভেম্বরে চিনের অভ্যন্তরীন বাজারে ইউয়ানের মূল্য হয়েছিল ৭.৩২৮০ এবং বিদেশে তা হয়েছিল ৭.৩৭৪৬। ২০০৮ সালের বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর এমন পরিসংখ্যান আর কখনও দেখা যায়নি চীনে। এটা যেমন সত্যি তেমনই পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে ইতিমধ্যেই চিনা মুদ্রার মূল্য ডলারের সাপেক্ষে চার শতাংশ কমে গিয়েছে। এখনই হাল না ধরলে আগামী দিনে এত বড় অর্থনীতি সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।

তাহলে কি আমেরিকার ডলারের প্রভাব শেষ করার ক্ষমতা নেই চীনের? শুধু মুখেই ছিল বড় বড় কথা? রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি, চিনের রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ডলার বিক্রি করছে সাধারণত, এই ব্যাঙ্কগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানেই কাজ করে। তবে শুধু এই পদক্ষেপের সমালোচনা করলেই চলবে না বলছেন অর্থনীতিবিদরা এভাবে ডলার বিক্রি করার নেপথ্যে থাকতে পারে জিনপিংয়ের গোপন চাল। তাদের দাবি এভাবে ডলার বিক্রি করার মাধ্যমে চিন তাদের সংগ্রহে ডলারের সংখ্যা হ্রাস করে নিজেদের মুদ্রার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে ইউয়ানের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা বেজিংয়ের। একইসঙ্গে বিশ্বের বাজারে বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে ইউয়ানের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চায় বেজিং। ইউয়ানের ব্যবহার যত বৃদ্ধি পাবে, ডলারের প্রয়োজনীয়তা ততই কমবে। প্রয়োজনীয়তা কমলে পড়বে ডলারের দামও। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারকে পিছু হঠিয়ে ইউয়ানের প্রচলন করাও বেজিংয়ের উদ্দেশ্য হতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে ততদিন সাবাস বলে পিঠও চাপড়ানো যাবে না বেজিংয়ের। ভারতও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রূপি সাহায্যে বাণিজ্য করছে। তবে ভারতের বর্তমান আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট স্টেবল। জিডিপি গ্রোথ বাড়ছে তাই রিস্ক নেওয়া যাচ্ছে চীনের জন্য ডলারের প্রভাব কমানো অভিশাপ হয়ে যাবে না তো এই আশঙ্কার মেঘও ঘনাচ্ছে বেজিংয়ের ওপর।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version