মোদীকে বড় সংকটে ফেললেন বাইডেন! চীন-তাইওয়ান যুদ্ধে কার পক্ষে ভারত ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীন-তাইওয়ান যুদ্ধে ভারত কার পক্ষে? আমেরিকা এমূহুর্তে দিল্লির জরুরী অবস্থান জানতে চাইছে ভারতকে কী ব্ল্যাকমেল করছে আমেরিকার? এক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ থাকবে নাকি দিল্লি? উভয়সংকটে পড়তে পারে দেশ মোদীর কূটনীতি কী বলছে? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ছক্কা হাঁকিয়েছে টিম মোদীর কূটনীতি। কিন্তু চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ বাঁধলে ভারত কার পক্ষ নেবে? ভারতকে কী আমেরিকার হয়েই যুদ্ধে নামতে হবে চীনের বিরুদ্ধে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী কোনওভাবে ব্ল্যাকমেল করছে দিল্লিকে? ভারত এতদিন চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে সাবধানেই পা ফেলেছে
তবে আমেরিকা এবার জটিল করে ফেলল দিল্লির অবস্থান জো বাইডেন ভারত সফরের আগেই নাকি জানতে চেয়েছিলেন চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ বাঁধলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থান তাতে কী হবে? আমেরিকার চেষ্টা এসুযোগে ভারতও যাতে চীনের বিরুদ্ধে হল্লাবোল বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তিক্ত হচ্ছে প্রতিমূহুর্তে। আপনি বলতেই পারেন তাহলে আর ভাবনা কিসের ভারত চীনের বিরোধিতা করবে সেটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে কিন্তু শুধু একটা উত্তরই কাফি নয় সেই উত্তর দেওয়ার আগে রয়েছে একাধিক কূটনৈতিক ইকুয়েশন যা এমূহুর্তে ঝালিয়ে নিচ্ছে দিল্লি। চীন আচমকা তাইওয়ান আক্রমণ করলে দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগণ্য দেশ হিসেবে ভারতের ভূমিকা কী হবে? তাইওয়ানের সঙ্গে সংঘাত বাধলে আমেরিকা এবং তার জোটের জন্য ভারতে একটি সহায়তা শিবির তৈরি করা যায় কি না? তা ওই পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। এর মানে একটু বিস্তারিতভাবে বলি যদি বেজিং তাইওয়ানে হামলা করে দেয় তারপর আমেরিকা ও তাদের জোট দেশগুলোর জন্য যুদ্ধবিমানের রক্ষণবেক্ষণ, সারানো, জ্বালানি, খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম কী ভারত থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ান সীমান্তে মোট ৬৮টি যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে চীনের লাল ফৌজ। এর মধ্যে ৪০টি বিমান বুধবার সকালে তাইওয়ানের‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে এমনকী দশটি চিনা রণতরীও শনাক্ত করেছে তাইপেই প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীন-তাইওয়ান এই দুটো দেশে এখন উত্তেজনা চরমে চীন কোনও স্টেপ নিলেই তার পাল্টা দিতে পিছু পা হচ্ছে না তাইওয়ান। এক্ষেত্রে রিস্ক থাকছে যদি দিল্লি পুরোপুরি চীনের বিরুদ্ধাচারণ করে তাহলে ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়া কোনওভাবে চটে যাবে না তো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন শীর্ষ সূত্রের খবর আমেরিকার কোয়ারিস আসার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ সিডিএস অনিল চৌহ্বান। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদি এই অঞ্চলে যুদ্ধ বাধে আর সেখানে আমেরিকা এবং তার জোট যুক্ত হয়ে পড়ে তবে তার সার্বিক পরিণতি ও প্রভাব কী পড়তে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য এই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর এতে ভারতের ভূমিকা কী হতে পারে সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারত হুটহাট করে কোনও সিদ্ধান্তই নেবে না আমেরিকার সঙ্গে রণকৌশলগত সম্পর্কও আগের তুলনায় সাউথ ব্লকের অনেকটা বাড়লেও চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে ভারত কার্যত ধরেই খেলবে। আমেরিকার বাড়াবাড়িতে পা দিয়ে ভারত যে নিজেদের সমস্যা বাড়াবে না সেই ভরসা টিম মোদীর ওপর করাই যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এমনটাই দাবি করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version