সাইকেলের মেকানিক বুর্জ খালিফার মালিক! আম্বানিকে টেক্কা দেবেন জর্জ, দেখুন কামাল

।। প্রথম কলকাতা ।।

সাইকেল সারানোর মেকানিক আজ বুর্জ খালিফার মালিক। ভারতীয় এই ব্যক্তির যা আছে আম্বানিরও তা নেই হয়ত। কঠোর পরিশ্রম নাকি রাতারাতি জ্যাকপট? কীভাবে ভাগ্য বদলালো কেরালার গ্রামের ছেলেটার? দুবাইয়ে ঝাঁ চকচকে বুর্জ খলিফার মালিক মোহাম্মদ আলব্বার। যিনি ইমার প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান কিন্তু তার এই বিশ্বজোড়া জনপ্রিয় বহুতলের ২২টা ফ্ল্যাট ভারতীয় এই ব্যবসায়ীর নামেই কেনা। এটা তো আর কোনও ছোটখাটো ব্যাপার নয়!  কথা বলছি বিসনেসম্যান জর্জ ভি মেরাপারামবিলের। ১৬৩ তলা বিশিষ্ট বুর্জ খালিফায় হঠাৎ করে এতগুলো ফ্ল্যাট কেন কিনলেন তিনি? জানা যায় জর্জের উত্থান কোনও রূপকথার কম কিছু নয়। তবে জীবন রূপকথায় চলে না এখানে কিছু বড় পেতে হলে পরিশ্রমো সেরকমই করতে হয়।

কেরালার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হওয়া জর্জ ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে তুলো বিক্রির ব্যবসা করতেন। এরপর, তুলোর ফেলে দেওয়া বীজগুলিকে ফের বিক্রি করতেন তিনি। জর্জ জানান, সেই সময় অনেকেই জানতেন না যে তুলোর বীজ দিয়ে আঠা তৈরি করা সম্ভব। এরপর একইভাবে তেঁতুলের বীজ বিক্রি করা শুরু করলেন তিনি। সেগুলির চাহিদা তখন ছিল পশুখাদ্য হিসেবে। শুধু তাই নয় জর্জ জানিয়েছিলেন একসময় সাইকেলের দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। সাইকেলের লিক ঠিক করতেন। পরিবারে দারিদ্রতা ছিল তাই সেভাবে পড়াশোনাও বেশি দূর করতে পারেননি জর্জ। তবে ৩ মন্ত্রই বদলে দেয় তার জীবন। জর্জে হাতের কাজ, ক্ষুরধার বুদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা।

১৯৭৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় প্রথমবার পা রাখেন জর্জ। ক্ষুরধার ব্যবসায়ী মনের জর্জের বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে এখানে বাতানুকূল যন্ত্র মানে এসির চাহিদা তুঙ্গে। প্রথমে মেকানিক তারপর ধীরে ধীরে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেন তিনি। বর্তমানে জিও গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক তিনি। কেরলের আদি বাসিন্দা এই ব্যবসায়ী। বুর্জ খলিফার সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত মালিক। বিদেশবিঁভুয়ে পরে থেকে তিনি যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তার কোনও সন্দেহ নেই। বুর্জে মোট ৯০০টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ২২টি কিনেছেন জর্জ। এর মধ্যে পাঁচটি ভাড়া দিয়েছেন তিনি। বাকিগুলির জন্য যোগ্য ভাড়াটিয়া খুঁজছেন এই ব্যবসায়ী। কিন্তু ওই যে প্রশ্ন হঠাত করে কেন এতগুলো ফ্ল্যাট বুর্জ খালিফার মতো বিশ্বের অন্যতম ধনী জায়গায় কিনলেন তিনি?

জর্জ জানান, একবার তাঁর এক বন্ধু মজা করে তাঁকে বলেছিলেন ‘এই যে বুর্জ খলিফা দেখছো, এখানে তুমি ঢুকতেও পারবে না। ব্যস, ২০১০ সালে একটা বিজ্ঞাপন বের হয় সেখানে বলা হয়েছিল, বুর্জে ভাড়ায় নেওয়ার জন্য অ্যাপার্টমেন্ট খালি রয়েছে। দেরি করেননি জর্জ সেইদিনেই ভাড়া নেন পরের দিন থেকে থাকা শুরু তারপর বাকিটা ইতিহাস!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version