Rezwana Choudhury Bannya: বাংলাদেশের শিল্পী পাচ্ছেন ভারতের বিশেষ সম্মান, জাদুতে বেঁধেছে দুই বাংলা

।। প্রথম কলকাতা।।

 

Rezwana Choudhury Bannya: এতদিনে নিশ্চয় শুনেছেন, বাংলাদেশের বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পাচ্ছেন ভারতের পদ্মশ্রী সম্মান। এনার গলায় আছে সুরের জাদু, যে জাদুতে মন ভরেছে দুই বাংলার মানুষের। আপনার মনে এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, ইনি তো বাংলাদেশের নাগরিক, তাহলে ভারতের বিশিষ্ট সম্মান তিনি কেন পাচ্ছেন? আসলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হলেও রবীন্দ্র সংগীত জগতে নাগরিকত্বের সরকারি তকমার ঊর্ধ্বে তিনি। ইনি শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও তুমুল জনপ্রিয়। এনার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এদেশে। বড় হয়েছেন শান্তিনিকেতনের আবহে।

এবছর ভারত সরকারের তরফ থেকে যে পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে রয়েছেন ৬ বিদেশি নাগরিক। যার মধ্যে অন্যতম রেজওয়ানা চৌধুরী। ইনি তাঁর সুরে মুছে দিয়েছেন দুই দেশের কাঁটাতারের ভেদাভেদ। ২০১৬ সালে সম্মানিত হয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা সম্মানে। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গভূষণ সম্মানে সম্মানিত হন। যদিও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রথম নন, এর আগেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছে প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক, সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী সহ অনেকে।

যদি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে নিয়ে বলতে শুরু করি, তাহলে শেষই হবে না। এইতো কয়েক বছর আগে করোনা আবহাওয়া ঠিক করেন, রবীন্দ্রনাথের গানকে আত্মস্থ করার পাশাপাশি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন। চেয়েছিলেন তার গানের স্কুলেও শান্তিনিকেতনের মত একটা পরিবেশ তৈরি করতে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে যৌনকর্মীদের সন্তানের গান ও শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন। সংগীতের জগতে পড়াশুনা প্রচুর। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত শিক্ষা লাভ করেছেন। ধ্রুপদী, টপ্পা এবং কীর্তনেও প্রচুর জ্ঞান। সংগীত চর্চার শিক্ষা পেয়েছেন তাবড় তাবড় শিল্পীদের কাছ থেকে। সান্নিধ্য পেয়েছেন শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন ,আসিস বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত সংগীতজ্ঞদের। তার নিজস্ব সুরের ধারা বলে একটি সংগীত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত। তাঁর অ্যালবাম গুলির মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়, নতুন দেশে, মাটির ডাক, প্রাণ খোলা গান,, আপন প্রাণে চাহি, স্বপ্নের আবেশে, সকাল সাঁঝে ,ভোরের আকাশ । এরকম এক এক করে বলতে গেলে তালিকা এখন শেষ হবে না।

রবীন্দ্রনাথ চর্চা কিংবা শান্তিনিকেতন তার কাছে স্বপ্নের জায়গা। আসলে এনার বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ভীষণ চর্চিত ছিলেন। ছোট থেকেই কবিগুরুর লেখা পড়ে বড় হয়েছেন। রেজওয়ানা চৌধুরী মনে করেন , এখন সময় এখন দ্রুত পাল্টে গিয়েছে। এখন গান শিখতে গেলে যে আত্ম নিবেদনের প্রয়োজন , তার একটু অভাব রয়েছে। সময় বদলটা যেমন মেনে নিতে হবে, তেমনই রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিকড় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী। আপনার কী হয়?

https://www.facebook.com/100069378195160/posts/711395717849695/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version