Bangladesh: বাংলাদেশের নির্বাচন হবে জাতিসংঘের অধীনে? কাঁটা ফোটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: বাংলাদেশকে কাঁটা ফোটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! জাতীয় নির্বাচন হবে জাতিসংঘের অধীনে! মানবাধিকার ইস্যুতে বিশাল চাপে দেশটা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবিতে কতটা বেসামাল বাংলাদেশ? তাহলে কি বাংলাদেশের নির্বাচন হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে? কী বলছে জাতিসংঘ? নির্বাচনের দিন কোন কোন ব্যবস্থা থাকছে? ভোটকেন্দ্রে কখন পৌঁছাবে ব্যালট? নির্বাচনের আগে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানা দরকার।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১৪ জন সদস্য। যেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছ। গুরুত্ব পেয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হওয়া কিন্তু একেবারেই নতুন নয়। এর আগেও বিশ্বের বহু দেশে এমনটা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন সময় জাতিসংঘ অন্য দেশের নির্বাচন হাতে তুলে নেবে, সেটাও ভাববার বিষয়। এমনটা যতবার হয়েছে, ততবারই পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নাজুক। ১৯৫০-৬০ এর দশক নাগাদ, বেশ কয়েকটি দেশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল। দেশগুলোতে ছিল অশান্তির আলোড়ন। তখন জাতিসংঘ বেশ কয়েকটা গণভোটের আয়োজন করে। সে সময় দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল, যাতে সবাই নিজেদের মতামত সুষ্ঠুভাবে প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। গত এক দশকে জাতিসংঘের নীতিমালাতে নানান পরিবর্তনে এসেছে। প্রশ্ন হল, যুদ্ধ ছাড়া রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ মতভেদের কারণে কি জাতিসংঘ ভোট নিতে পারে?

জাতিসংঘের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোন দেশের নির্বাচন জাতিসংঘ তখনই করবে যখন সেই দেশ সহায়তার অনুরোধ করবে, কিংবা নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হবে। এজন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সেই দেশের জনগণের সমর্থন থাকা চাই। বাংলাদেশের মতো সার্বভৌম দেশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর জটিলতা রয়েছে। জাতিসংঘ কখনোই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে জড়াবে না। বড়জোর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে কিংবা এই বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য বিশেষ দল পাঠাতে পারে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যেক দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে ৩০০ আসনে। ব্যালট পেপারে নেওয়া হবে ভোট। ব্যালটে নির্বাচনে অপব্যবহার রুখতে ভোটের দিন একদম সকালে ব্যালট পৌঁছে যাবে ভোট কেন্দ্রে। ভোট শুরু সকাল ৮ টা নাগাদ। তবে যেসব কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পাঠানো একটু অসুবিধার কিংবা সম্ভব নয় সেখানে রাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যালট পাঠানো হবে। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার কথা এখনো ভাবা হয়নি। ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র প্রায় চার লক্ষ। যে ভোট কেন্দ্র গুলি একটু সংবেদনশীল, ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বেশি থাকবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version