বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, দায় কার কাদের ? এতো কিছু সামাল দিতে হবে শেখ হাসিনাকেই। যুক্তরাষ্ট্র এবার কী স্টেপ নেবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার বাতাসে হিংসার গন্ধ। বরদাস্ত করবে না যুক্তরাষ্ট্র। নেবে কড়া স্টেপ। কোন দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি? এতকিছু কিভাবে সামাল দেবেন শেখ হাসিনা? নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে তো? চরম আশঙ্কায় বাংলাদেশের মানুষ।

দিনটা ২৮ শে অক্টোবর, নির্বাচনকে সামনে রেখে জ্বলে উঠল বাংলাদেশ। উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বিশ্বের ৭ দেশ দিল কড়া স্টেটমেন্ট। বারংবার সতর্কতা, সাবধানতা, নজরদারির সত্ত্বেও কীভাবে ঘটে গেল এমন ঘটনা? ছুঁড়ে দিল বড় প্রশ্ন। নির্বাচন সত্যি সুষ্ঠু হবে তো? নাকি ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ সরকার? একদিকে বিএনপি, একদিকে আওয়ামীলীগ। একে অপরের উপর চলছে দোষারোপের পালা। বাড়ছে হিংসাত্মক ঘটনা। মার্কিন দূতাবাস যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন বহু দেশ। তালিকায় রয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রসহ সাত দেশের কূটনৈতিক মিশন বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। ত্যাগ করতে বলেছে সহিংসতা।

যেখানে বারংবার রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে আঙুল উঠছে বাংলাদেশের দিকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঢাকার রাস্তায় যেভাবে দিনে দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে গেল, তাতে গভীরভাবে শোকাহত ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। ঢাকার সহিংসতার ঘটনার তদন্ত এবং জবাবদিহিতা চেয়েছে। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ঢাকায় হত্যা, হাসপাতালে ও বাসে আগুন, বেসামরিক নাগরিক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা এই ধরনের ঘটনাগুলো নিন্দনীয়। কখনই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যদি ঠিক মনে করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাই করবে। তবে সেই পদক্ষেপ যে কি, বা কাদের বিরুদ্ধে হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি।

এই প্রশ্নটা নিশ্চয়ই আপনার মাথাতেও ঘোরাঘুরি করছে, যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে কোন দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি? ইতিমধ্যেই বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক দলের পরস্পরের প্রতি বক্তৃতায় পাচ্ছেন সহিংসতার আভাস। পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, এখনই রাশ না টানলে নয়। মাঝে তো আর মাত্র কয়েকটা মাস। নতুন বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্ধারণ করা হবে ভোট গ্রহণের তারিখ। বহুদিন ধরেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়েছে। ঘোষণা করেছে ভিসা নীতি। তারপর থেকেই দেশটার সরকার এবং বিরোধী দল একে অপরের প্রতি কোনো দ্বন্দ্বে জড়ায়নি। এক পর্যায় পর্যন্ত সংযমী ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর ধরে রাখা গেল না। এখন জবাবদিহি করতে হবে ওয়াশিংটনকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version