Bangladesh Army: শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কোন যুদ্ধের প্রস্তুতি? শান্তিকামী দেশটা চাইছে টা কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh Army: বাংলাদেশে তলে তলে শক্তিশালী হচ্ছে সেনাবাহিনী। কিন্তু কেন? কোন যুদ্ধের প্রস্তুতি? বাংলাদেশ ভরসা করে নিজের মাটিকে। দুর্ধর্ষ করে তুলছে নৌবাহিনীকে। দেশের মধ্যেই বানিয়ে ফেলল বিশাল ঘাঁটি আর ৮টা যুদ্ধ জাহাজ। যারা দাপিয়ে বেড়াবে সমুদ্র অঞ্চলে। সহ্য করবে না শত্রুদের টুঁ শব্দ। কিন্তু দেশটা এই যে বলে যুদ্ধ চায় না, তাহলে এত আয়োজন কিসের? সবটাই কি মুখের কথা? এই নতুন নৌ ঘাঁটিতে কী হবে?

বাংলাদেশের দক্ষিণ দুয়ার পেরিয়ে ১ লক্ষ ১৮ হাজার বর্গ কিলোমিটারের নীল জলরাশির নিচে আছে অফুরন্ত সম্পদ। যেখানে অতন্ত্র প্রহরীর মতো পাহারা দিচ্ছে নৌবাহিনী। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন দক্ষ, চৌকস প্রচুর বাঙালি প্রকৌশলী। ধীরে ধীরে উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশটার নৌবাহিনী সহ সমগ্র সশস্ত্র বাহিনী। যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। কিছুদিন আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে বানৌজা শের-ই-বাংলা সহ ৪১ পিসিএস এর চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউ। এগুলি বাংলাদেশের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা শিপ ইয়ার্ডের পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রনে তৈরি বানৌজা শহিদ দৌলত, শহিদ ফরিদ, শহিদ মহিবুল্লাহ এবং শহিদ আখতার উদ্দিন। পাশাপাশি রয়েছে চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি। বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা এবং পেঙ্গুইন। ইতিমধ্যেই জাহাজগুলো চট্টগ্রাম থেকে প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে যাচ্ছে ভাসানচরে। যেখানে আশ্রয় পেয়েছেন মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত প্রচুর রোহিঙ্গা। পাশাপাশি উপকূল এলাকার নিরাপদ নিশ্চিত করবে। আটকাবে চোরাচালান। অনুপ্রবেশের মাধ্যমে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ হবে। দুর্যোগে মানুষ পাবে দ্রুত সাহায্য।

এবার আসা যাক শের-ই-বাংলা ঘাঁটির কথায়। যা নিয়ে এত হইচই। এখানে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে স্কুল, ওয়ার্কশপ সবই রয়েছে। অপারেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, এভিয়েশন সাপোর্ট, বিভিন্ন রিপেয়ার এবং মেনটেইন্যান্স ওয়ার্কশপ, ডাইভিং সালভেজের কমান্ডো পরিচলনার বিশেষ ইউনিট, নৌবাহিনীর স্কুল, কলেজ, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, হ্যাঙ্গার সুবিধাযুক্ত মাল্টিপারপাস সেট। এখানে প্রায় ১৪০০ নাবিক একসাথে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ শান্তিকামী জাতি। সেটা গোটা বিশ্ব জানে। মেনে চলে বন্ধুত্বের নীতি। বাংলাদেশ বিন্দুমাত্র যুদ্ধ চায় না। একথা বারংবার শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলায়। লক্ষ্য একটাই, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। একটু খেয়াল করে দেখবেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে প্রচুর সংখ্যক যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার, টহল বিমান যুক্ত হয়েছে। আসলে প্রচুর নদ নদীর ঘিরে রেখেছে দেশটাকে। তাই আত্মরক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা অত্যন্ত দরকার। একটা সময় বাংলাদেশ নিজেদের যুদ্ধ জাহাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করত। এখন নিজেদের জাহাজ নিজেরাই তৈরি করছে। বাংলাদেশের নৌবাহিনী শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যেই নয়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও নতুন উদ্যমে কাজ করছে। সুনাম অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। গোটা বিশ্বজুড়ে উজ্জ্বল হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত করা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version