Cyclone: চোখ রাঙাচ্ছে আরেক সাইক্লোন! বাংলাদেশ সেফজোনে? আতঙ্কে ভুগছে এই দেশগুলো

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone: মোকার পর এবার আরও বড় সাইক্লোন অপেক্ষা করছে। স্যাটেলাইট ইমেজ ঘিরে আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইমেজে কী ধরা পড়েছে? কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়? নতুন সাইক্লোনের আতঙ্কে কাঁপছে কোন দেশ? কি বলছেন আবহবিদরা? ভয় পাওয়ানো উদ্দেশ্য নয়, সচেতন করার লক্ষ্যে এই রিপোর্টে জানানোর, বোঝানোর চেষ্টা করব আবহবিদরা ঠিক কি বলছেন? কি আশঙ্কা করছেন তাঁরা? মোকার পর এবার আরেক সাইক্লোন ফ্যাবিয়েন নিয়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। মোকার গতিকেও হার মানাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ আবহবিদদের একাংশের। কবে আছড়ে পড়তে পারে? জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই এই ঘূর্ণিঝড়টা তীব্র বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোথায় আঘাত হানতে পারে ফ্যাবিয়েন?

এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েন ঠিক কোন দেশের কোন উপকূলভাগে আছড়ে পড়বে তা জানা যায়নি। ল্যান্ডফলের দিনক্ষণ কিংবা সেই মুহূর্তের গতি সম্পর্কেও কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে, আশঙ্কা করা হচ্ছে দক্ষিণ ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। স্যাটেলাইট ইমেজে কি ধরা পড়েছে? জানা যাচ্ছে, প্রায় ৬৫ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণাবর্তটা বর্তমানে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে সোমবার এর গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছে গেছে। ধীরে ধীরে এর গতি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ১২০ কিলোমিটার, বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে সাইক্লোন ফ্যাবিয়েনের গতি পৌঁছবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটারে। জুম আর্থে এই ঘূর্ণাবর্তের স্যাটেলাইট ইমেজ ধরা পড়েছে। তবে শুধু ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েন নয়, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় কিন্তু অপেক্ষায় রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে পরবর্তী যে ঘূর্ণিঝড়গুলো তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামকরণ করা বিপর্যয়, ভারতের নামকরণ করা তেজ, ইরানের হামুন, মালদ্বীপের মিধালি, মিয়ানমারের মিচাউঙ্গ, ওমানের নাম দেওয়া রিমাল, পাকিস্তানের নামকরণ করা আসনা, কাতারের নাম দেওয়া ডানা এবং সৌদির ফিনগাল। তবে একটা কথা বলতেই হচ্ছে, মোকার প্রভাবে এমনিতেই আতঙ্কে রয়েছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার। এরমধ্যে, ফ্যাবিয়েন কোথায় কতটা প্রভাব ফেলবে বা শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। কিন্তু, এতো কম সময়ের ব্যবধানে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, কেন? এর নেপথ্যে কোন কারণ? একটু লক্ষ্য করে দেখুন, ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বছরই একটু একটু করে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় আর তার ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যার পরিমাণ। এর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দায়ী করা হয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version