।। প্রথম কলকাতা ।।
Shakib Khan: বাংলাদেশের (Bangladesh) সব থেকে জনপ্রিয় নায়ক (Famous Hero) শাকিব খানের (Shakib Khan) বিরুদ্ধে উঠলো ধর্ষণের অভিযোগ। অভিনেতার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন ছবির প্রযোজক রহমত উল্লাহ। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে শাকিব খান একটি ছবির শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন তিনি নাকি সহ প্রযোজককে ধর্ষণ করেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তাঁর দাবি অনুযায়ী, সেই কারণে সেই সময় পুলিশ শাকিব খানকে গ্রেফতার করেছিল।
২০১৭ সালে ছবি তৈরি করতে গিয়ে কিংবা শুটিংয়ের সময় যে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তার একটা তালিকা প্রকাশ করেছেন ওই ছবির প্রযোজক। অভিযোগ পত্রে লিখেছেন সেই সমস্যার কথা। অভিযোগ পত্র অনুযায়ী, শাকিব খান নাকি সমস্ত প্রস্তুতির পরে হঠাৎ করে শুটিং বাতিল করে দিতেন। শুটিং চলাকালীন এমন কিছু খাবার চাইতে যা জোগাড় করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। এক্ষেত্রে প্রচুর টাকাও ব্যয় হত। নিজের ইচ্ছা মতো অভিনেতা শুটিংয়ে আসতেন। তার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকত সবাই। ঘন্টার পর ঘন্টা সহকারী কর্মীদের সেটে বসে থাকতে হত। অস্ট্রেলিয়ার হোটেলে নিয়ে আসতেন যৌনকর্মীদের, আর সেই পারিশ্রমিক দিতে হত প্রযোজককে। শাকিব খান কৌশলে নাকি এক মহিলা সহ প্রযোজককে ধর্ষণ করেছেন। সেই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাসপাতালে যখন ওই মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে তারা নানান সমস্যার মধ্যে রয়েছেন সেই সময়ে শাকিব খান অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। বার বার তিনি শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৮ সালে ধর্ষণের অভিযোগের শাকিব খানকে অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশ গ্রেফতার করে কিন্তু পরবর্তীকালে নির্যাতিতা সামাজিক চাপের কারণে মুখ খুলতে রাজি হননি। তাই ছাড়া পেয়ে যান শাকিব খান।
এখনো পর্যন্ত সেই ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়নি। সিনেমার প্রযোজকের দাবি অনুযায়ী, এক্ষেত্রে অন্যতম কারণ শাকিবের অসহযোগিতা। শাকিব খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের পাশাপাশি মামলার হুমকিও দিয়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জমা দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ পত্র। ১৫ ই মার্চ বুধবার তিনি সেই অভিযোগ পত্র জমা দেন। তার দাবি অনুযায়ী শাকিবের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তদন্ত করছেন, এক্ষেত্রে তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন।
প্রযোজক রহমত উল্লাহ নাকি এতদিন ধরে সমঝোতার মাধ্যমে সব কিছু মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শাকিব খান তা করেননি। ছবির বাজেট ছিল প্রায় ৪ কোটি টাকা। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ দিনের শুটিংয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। দাবি অনুযায়ী, নয় শাকিব খানকে ছবি শেষ করতে হবে, না হলে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু শাকিব খান কিছুই করছেন না। প্রযোজকের সঙ্গে শাকিব খানের ঠিক কত টাকার পারিশ্রমিকের চুক্তি হয়েছিল তা জানা যায়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম