৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোয় বিরল যোগ! মা দুর্গার আগমনের আগে কেন বিশ্বকর্মা পুজো হয় ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোয় বিরল যোগ দুর্গাপুজোর আগেই কেন বিশ্বকর্মা পুজো হয়? অরন্ধন আসল মানে না জেনেই এই ব্রত পালন করছেন দেবী মনসাকে কেন পুজো করা হয়? প্রতি বছর ১৭ তারিখে হলেও এবার কেন ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো? দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুজো মানেই মা দুর্গারও আসতে আর বেশি দেরি নেই। মা দুর্গার পুজোর আগেই কেন হয় বিশ্বকর্মার আরাধনা। ৫০ বছর পর এই বছর আপনার ভাগ্য খুলতে পারে। বলা হয় বিশ্বের কর্ম বা কৃষিকর্ম যিনি শুরু করেন তিনিই বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা আসেন পৃথিবীকে সাজিয়ে তোলেন এরপর দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আসেন।

৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে রাজযোগ। তাই এবছর পুজোয় কী কী করলে ভাগ্য খুলতে পারে আপনার? চাকরি বা ব্যবসায় বাধা আসছে? এবছর বিশ্বকর্মাকে যদি আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো করতে পারেন আপনার ব্যবসার উপর কালো ছায়া সরে যাবে এবছর বিশ্বকর্মা পুজোয় একসঙ্গে ৪ টে যোগের সৃষ্টি হওয়া একটি বিরল ঘটনা। এরকমটা ৫০ বছর আগে ঘটেছিল বলছেন পণ্ডিতরা। বিশ্বকর্মা পূজার সঙ্গে বেশ কিছু আচার আছে যার সঙ্গে বিশ্বকর্মা আরাধনার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনিও না জেনে বছরের পর বছর পালন করে আসছেন। জানেন কি।

বিশ্বকর্মা পূজার দিন অরন্ধন হয় ভাদ্র মাসের শেষ ও আশ্বিন মাসের। প্রথম দিনেই পালিত হয় এই অরন্ধন পুজো। এই রান্না পুজোকে ইচ্ছে রান্না বা বুড়ো রান্না বলে থাকেন অরন্ধনের মানে হল রান্না করা নিষেধ। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তাই রান্না করা হয় না। তাই তার আগের দিন বহু পদের রান্না করে রেখে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এদিন মনসা পুজো করারও রীতি রয়েছে। আসলে রান্না পুজো মানেই হল মনসা পুজো এর কারণ উনুনের গর্তকে দেবী মনসার প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই সময় সাপেদের উপদ্রব শুরু হয়। তাই দেবী মনসাকে সন্তুষ্ট রাখতে ও সংসারে দেবীর কৃপা বজায় রাখতে এদিন বাড়িতে উনুনে আর রান্না করা হয় না। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন তাই মাছ, ডাল, সাত রকমের ভাজাভুজি রান্না করে রাখা হয়। তার পরের দিন আর বাড়িতে কোনও টাটকা রান্না করার নিয়ম নেই।

সাধারণত প্রায় প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এই বছর এই নিয়ম পাল্টে গেল কেন?
দেব-দেবীরই পুজোর তিথি স্থির হয় চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে কিন্তু একমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির হয় সূর্যের উপর ভিত্তি করে। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পিছিয়ে বা এগিয়ে যায়, তবে তা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। এবছরও ঠিক তাই হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুজো মানেই মা দুর্গারও আসতে আর বেশি দেরি নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version