Combodia Hotel Fire: কম্বোডিয়ার হোটেলে ভয়াবহ আগুন, আতঙ্কে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ! ঝলসে মৃত ১০

।। প্রথম কলকাতা ।।

Combodia Hotel Fire: স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কম্বোডিয়া (Combodia) থেকে এল এক ভয়ানক খবর। হঠাৎ করেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জনের বেশি। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পোয়েপেটের শহর গ্র্যান্ড ডায়মন্ড সিটি হোটেল ক্যাসিনোতে এই অগ্নিকাণ্ডের (Fire) সময় প্রায় ৪০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে। অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে কম্বোডিয়া প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়েছে সেই অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ কয়েকটি ভিডিও। যেখানে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্কে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি হোটেলের পাঁচ তলা থেকে নিচে ঝাঁপ দিচ্ছেন। কেউ বা জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একটি টুইটারে শেয়ার করা ভিডিওর দাবি অনুযায়ী, গ্র্যান্ড ডায়মন্ড সিটি হোটেল ক্যাসিনোতে গ্যাস ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ফলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। প্রথমে এক তলার একটি ঘরে আগুন লাগে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা হোটেলে। যদিও এখনো মূল ঘটনার কারণ নিয়ে দমকল বিভাগ ধোঁয়াশায়। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, তারা মনে করছেন শটশার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। থাই-কম্বোডিয়া সীমান্ত বরাবর প্রচুর ক্যাসিনো হোটেল আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল গ্র্যান্ড ডায়মন্ড সিটি।

দূর্ঘটনার সময় ওই হোটেলে প্রায় ৪০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ জনকে বিল্ডিং থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে আবার অনেকে বিদেশী নাগরিক। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশপাশে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আগুন লাগার পর স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে সংবাদ পেলে, দ্রুত দমকল বাহিনী পৌঁছে দেখে একাধিক ব্যক্তি বিল্ডিং থেকে আতঙ্কে ঝাঁপ দিচ্ছেন। দমকল কর্মীরা এখনো পর্যন্ত ৭০ শতাংশ আগুন নেভাতে পেরেছেন। কিছু কিছু জায়গায় ধিক ধিক করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে আটকে রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডের সা কায়েও প্রদেশের হাসপাতালে। মূলত কার্পেটে আগুন ধরে গোটা বিল্ডিংয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখনো একাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version