কেন মা কালীর জিভ বেরিয়ে থাকে! মায়ের এই অদ্ভুত রূপের কারণ কী ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

জানেন? মা কালীর জিভ কেন বেরিয়ে থাকে? স্বামীর বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন কুচকুচে কালো গায়ের রঙ, মুণ্ডমালিনী কালীমূর্তির রূপ এরকম হয় কেন? মায়ের এই অদ্ভুত রুপের আসল রহস্য জানাবো আজকে। প্রত্যেকটি রূপের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। মা কালীর এই রূপেরই পুজো করে আসছেন। কিন্তু কেন মায়ের জিভ বাইরে বেরিয়ে থাকে? ভেবে দেখেছেন কখনও ? অনেকেই কিন্তু জানেন না। কেনই বা মহাদেবের বুকের উপরে পা দিয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি? সব জানাবো। তার আগে প্রথম বাংলা খবরকে ফলো করতে ভুলবেন না।

মা কালীর গায়ের রং কালো আসলে তিনি যে কোনও বর্ণের ঊর্ধ্বে। কখনও দেবীকে গাঢ় নীল বর্ণেও কল্পনা করা হয় কারণ তিনি গাঢ় নীল আকাশের মতোই অসীম।দেবী ত্রিনয়ন চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নির মতোই অন্ধকার বিনাশ করতে পারেন। এই ত্রিনয়নের মাধ্যমে দেবী অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দর্শন করে থাকেন। মা কালীর মূর্তিকে ভালোভাবে দেখলে দেখতে পাবেন সাদা দাঁত দিয়ে নিজের রক্তবর্ণ জিভকে কামড়ে ধরে রয়েছেন। মায়ের জিভ সব সময়ই বাইরে থাকে। আসলে দেবী তাঁর ভক্তদের বোঝাতে চাইছেন ত্যাগ দিয়ে ভোগকে দমন করো। এছারাও এই জিভ বেরিয়ে থাকার অন্য একটি কারণ রয়েছে। বিশ্বকে রক্ষা করতে অবতীর্ণ হলেন দেবী দুর্গা। কিন্তু ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত রক্তবীজ বারবার বেঁচে যায়।

তখন দেবী দুর্গা তাঁর দুই ভুরুর মাঝ থেকে জন্ম দেন কালীকে। কালো রূপে দেবীকে খুব উগ্র বেশে দেখা যায়। দেবীর ক্রোধের সামনে যে কোনও দেবতার পক্ষে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তখন সমস্ত দেবতারা শিবের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। দেবতাদের অনুরোধে, মহাদেব সেখানে পৌঁছে গোপনে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন। অসুর নিধন করতে করতে উন্মত্ত মহাকালী হঠাৎ শিবের বুকে পা রাখেন। শিবের বুকে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চেতনা ফিরে আসে। স্বামীর বুকে পা রাখার জন্য এবং নিজের প্রচণ্ড ক্রোধের জন্য তখন তাঁর অনুতাপ বোধ হয়। এই অপরাধবোধে দেবীর জিভ কেটে ফেলেন।

দেবী কোমরে হাতের মেখলা এই হাত কর্মের প্রতীক। কালী শব্দের উৎপত্তি কাল থেকে। কাল-এর স্ত্রীলিঙ্গ কালী। কাল বলতে বোঝায় সময়। অর্থাৎ অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যতকে যিনি চালনা করেন তিনি মহাকাল। আর সেই মহাকালের নিয়ন্ত্রক যিনি, তিনিই মহাকালী। অনন্তকে কোনও জাগতিক বস্ত্রের আবরণে আটকানো যায়না। দেবী তাই নগ্নিকা। আবার কোনও কোনও মতে বলা হয় কালী শক্তির প্রতীক, শক্তিকেও কোনও বসন বা আচ্ছাদনে আবদ্ধ করা যায় না। কালীর বিভিন্ন রূপের সন্ধান পাওয়া যায়। যথা, দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী। এর মধ্যে দক্ষিণাকালী রূপটিই বাংলায় বেশিমাত্রায় পুজো পায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version