।। প্রথম কলকাতা ।।
Turkey And Syria Earthquake: প্রায় ৭ দিন হতে চলল, উদ্ধারকারীরা এখনো আশা ছাড়েননি। সোমবার (Monday) ভোররাতে ৭. ৮ মাত্রায় ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক (Turkey) আর সিরিয়া (Syria)। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়েছে প্রায় ২৯ হাজার। আশঙ্কা করা হচ্ছে অঙ্ক আরো বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন প্রচুর। এত কিছু খারাপের মধ্যেও কিছু সফলতার গল্প রয়েছে। প্রায় ১২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারীরা পাথরের নিচ থেকে উদ্ধার করেছেন দুই মাসের শিশুকে (Two months baby)। শিশুটি উদ্ধারকারীদের কোলে উঠতেই কান্নার বদলে হেসে ফেলে। যার হাসি সবার মন ভরিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই দুই মাসের শিশু কন্যা ছাড়াও পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ছয় মাসের এক গর্ভবতী মহিলা এবং ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে। উদ্ধারকর্মীরা এটাই ভেবে অবাক যে এনারা এত দীর্ঘ সময় খাবার, জল ছাড়া কিভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে ছিলেন।
মৃত্যুর সংখ্যা পেরোবে ৫০ হাজার
জাতিসংঘের আশঙ্কা অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছড়াতে পারে প্রায় ৫০ হাজার। দ্যা গার্ডিয়ানের সূত্র অনুযায়ী, জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম স্কাই নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হতে পারে। তবে ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হবে তা এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ভূমিকম্পের এই ভয়াবহতার মধ্যে তীব্র ঠান্ডা সহ তুষারপাত উদ্ধার কাজে নানান বাধা সৃষ্টি করছে। যদিও উদ্ধারকর্মীরা সেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে নিজেদের কাজে অটল। এখনো পর্যন্তও ধ্বংসস্তূপ থেকে বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কে এই প্রথম নয়, ১৯৯৯ সালেও দেশটি ঠিক একইভাবে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। যদিও তখন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারের বেশি। সম্প্রতি ঘটা ঘটনায় তুরস্কে প্রায় দুই হাজারের বেশি বহুতল ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীদের অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তারা সাফল্যও পেয়েছেন।
মানবিকতা হারিয়েছে দুষ্কৃতীরা
অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, এই ভূমিকম্পে যারা নিজেদের মাথা ছাদ হারিয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছেন তাদের সামনে আরেকটি বিপর্যয় অস্তে চলেছে, তা হল তীব্র শীত আর তুষারপাত। এমত পরিস্থিতিতে তুরস্কের হাজার হাজার মানুষ এখন আশ্রয়, জল, জ্বালানি আর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের মানবিকতা হারিয়ে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনার মাঝেই তুরস্কে লুটপাট আর অপহরণের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ধরনের অন্যায় কাজ খুব দ্রুত বন্ধ করবেন। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পের পর লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সহিংসতা এবং লুটপাটের কারণে তুরস্কে ভূমিকম্পকবলিত বহু এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। যার কারণে জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম