১২ টাকায় পাবেন পাপমুক্তির সার্টিফিকেট। মন্দিরের বিশেষত্ব অবাক করবে আপনাকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

১২ টাকায় পাবেন পাপমুক্তির সার্টিফিকেট। মন্দিরের বিশেষত্ব অবাক করবে আপনাকে, জীবনে ছোটো খাটো অনেক পাপ করেছেন? ১২ টাকায় পাবেন পাপমুক্তির সার্টিফিকেট। অবাক লাগলেও সত্যি। এই মন্দিরের এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে যা শুনলে একবার ঘুরে আসতে ইচ্ছা হবে আপনারও। কোথায় রয়েছে সেই মন্দির? কি তার বিশেষত্ব? কিভাবে হবে আপনার পাপমুক্তি? চলুন আজ আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসি সেই বিশেষ মন্দির থেকে। গঙ্গায় ডুব দিয়ে পাপমুক্ত হতে বারাণসী কিংবা হরিদ্বারে পাড়ি দেন অনেকেই। এছাড়াও এমন একটি বিশেষ মন্দির রয়েছে সেখানকার রীতি অনুযায়ী হতে পারে আপনার পাপ মুক্তি। সেই বিশ্বাস অনুযায়ী অনেকেই সেখানে যান প্রায়শ্চিত্ত করতে। মেলে পাপমুক্তির সংসাপত্রও।

জানেন কোথায় রয়েছে এমন মন্দির?

দক্ষিণ রাজস্থানের প্রতাপগড় জেলার রয়েছে মন্দিরটি। জয়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির। যাকে মরুরাজ্যের অন্যতম জাগ্রত মন্দির বলে মান্য করা হয়। সেখানেই সুযোগ রয়েছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার। ‘পাপমুক্তি সার্টিফিকেট’ পেতে কতৃপক্ষকে দিতে হয় ১২ টাকা। কিভাবে হয় এই পাপমুক্তি?

প্রাচীন রীতি অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়, মন্দিরের মধ্যে থাকা পবিত্র মন্দাকিনী কুণ্ডে ডুব দিলেই ধুলোবালির মতোই সাফ হবে সব পাপ। মন্দির কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী, মন্দাকিনী কুণ্ডে’ যদি কেউ ডুব দেন, তবে সেই খবর জানানো হয় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের। এর পর পাপের দায়ে একঘরে হওয়া ব্যক্তিকে ফেরানো হয় সমাজে। ১২ টাকার শংসাপত্র স্বাক্ষর করেন সরকারি আমিন। শংসাপত্রটি মন্দির ট্রাস্ট দ্বারা জারি করা হয় যা রাজ্য সরকারের দেবস্থান বিভাগের অধীনে আসে। যদিও শংসাপত্রের সন্ধানকারীর সংখ্যা সীমিত এবং মন্দিরের ‘মন্দাকিনী কুন্ডএ ডুব দেয়ার জন্য বছরে প্রায় ২৫০-৩০০ টি শংসাপত্র জারি করা হয়।

এই রীতির সূত্রপাত কোথা থেকে জানেন?

জানা যায়, এর সঙ্গে জড়িত মহাঋষি গৌতমের এক কাহিনি। ওই কাহিনি অনুযায়ী, গোহত্যার মতো মহাপাপ করেছিলেন মহাঋষি। এর পর এই মন্দির সংলগ্ন কুণ্ডে স্নান করেই পাপমুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ওই স্থানেই গড়ে ওঠে গৌতমেশ্বর মন্দির। সেই থেকে কুণ্ডে স্নান করে পাপমুক্ত হওয়ার চল ভক্তদের মধ্যে।

মন্দিরটির মাহাত্ম্য আর সৌন্দর্য আকৃষ্ট করবে আপনাকেও। কথিত আছে মন্দিরটি শিবের উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত এবং বলা হয় যে একবার গজনীর সুলতান মাহমুদ মন্দিরটি আক্রমণ করে ‘শিবলিঙ্গ’ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে মৌমাছির ঝাঁক বেরিয়ে আসে এবং গজনীর সুলতানের সেনা বাহিনীকে আক্রমণ করে। এখানকার শিব এতটাই জাগ্রত যে এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার জেরে এখন মন্দিরটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টেনে আনে পর্যটকদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version