কেন রাখঢাক করছে শিমুল? মানালির ন্যাকামি দেখে কটাক্ষ নেটিজেনদের

।। প্রথম কলকাতা ।।

আচ্ছা, অত্যাচার হচ্ছে দেখেও এখনও মুখ বুজে থাকবে বাড়ির বউরা! আজকের দিনে প্রতিবাদ করেও কেন বার বার পিছিয়ে যাবে সে? কোনটা আসল রূপ তার? সত্যিই কি সে প্রতিবাদী? সত্যিই কি নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠতে চায়? তাহলে পরক্ষণেই পিছিয়ে আসা কেন? বরকে ধরিয়ে দিতে তুমি থানা পুলিশ কিছুই বাদ রাখলে না। অথচ পুলিশ যখন ধরতে এলো তখন দোষ নিচ্ছ নিজের ঘাড়ে। এটা কি ন্যাকামো নয়! এমনই বলছেন নেটিজেনরা। ঠিক ধরেছেন। কথা হচ্ছে, ‘কার কাছে কই মনের কথা’র শিমুলকে নিয়ে। তার আচার আচরণে কটাক্ষের বন্যা বইছে নেট দুনিয়ায়। কেন এমনটা করছে শিমুল!

এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে চলছে হাই ভোল্টেজ ড্রামা। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে টিআরপি। বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের পাখির চোখ এখন এই ধারাবাহিক। প্রথম পাঁচের শীর্ষস্থানে রাজত্ব করছে এই সিরিয়াল। দিনে দিনে তার জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক নারীর লড়াইয়ের গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। যা এক কথায় প্রশংসনীয়। বধূ নির্যাতন, বৈবাহিক ধর্ষণের বিরুদ্ধে এক নারীর লড়াই দেখে দর্শকরা মুগ্ধ। তার ফলেই এই ধারাবাহিকের এতোটা জনপ্রিয়তা। তার মাঝেই এই ধারাবাহিকের কিছু দৃশ্য নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি রকমের বলে মনে করছেন দর্শকরা।বলছেন, আজকের দিনে এতোটা মেলোড্রামার দরকার ছিল না ।অনেক ঘটনার সঙ্গেই অবাস্তবতার ছোঁয়া লেগে রয়েছে। ‌বিশেষ করে এই ধারাবাহিকের নায়িকা চরিত্র শিমুলের চরিত্রটি ষ ভীষণ রকমই ন্যাকা, একগুঁয়ে রকমের বলছেন দর্শকরা। অনেকেরই মতে, প্রতিবাদী হ‌ওয়া অন্যরকমের। আবার শুধুমাত্র নারীবাদী হওয়া আর এক ব্যাপার। তবে শিমুল কোন রকমের সেটা বোঝা দায়।

স্বামীকে নিজের বর হিসেবে মানে না কিন্তু শ্বশুরবাড়িতেই থাকবে। একই পরিবারে থেকে বিরোধিতাও করে যাবে। কখনও সে স্বামী, দেওরের বিরুদ্ধে থানা, ডিএম অফিস পর্যন্ত ছোটাছুটি করছে। আবার কখনও তারা অপরাধী জেনেও মুখ চুপ করে থেকে তাদের বাঁচিয়ে দিচ্ছে। শাশুড়ি তার পক্ষে এসেছে। তার হয়ে কথা বলছে। পাড়া প্রতিবেশীরা তার সঙ্গে থাকছে। অথচ তখন সে ঘুরে যাচ্ছে। এরপর দরকারে সঙ্গে কাউকে পাবে! এই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে দর্শকদের মধ্যে। শিমুলের এই ঢং গুলোই ভালো লাগছে না দর্শকদের।

ভেবে দেখুন, শিমুলের সিদ্ধির গ্লাসে বিষ মিশিয়ে ছিল পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা। এই সত্যিটা সবার জানা। শিমুল‌ও জানে। পুলিশ‌ও সন্দেহ করছে এই তিনজনকেই। কিন্তু হঠাৎ করেই পরাগ, পলাশের ওপরে দরদ উথলে উঠলো শিমুলের। পুলিশ পরাগ, পলাশকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যেতে উদ্যত হতেই শিমুল বলে ওঠে সে নাকি নিজেই বিষ খেয়েছিল।এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে পরাগকে নিজে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল সেই আবার নাকি বাঁচাচ্ছে। আর যা দেখে শিমুলকেই তীব্রভাবে কটাক্ষ করছেন দর্শকরা। আসলে শিমুলের এই দু পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে আসাটাই হয়তো এই সিরিয়ালের ইউএসপি। সে জন্যই তার এতো রমরমা। তা বিলক্ষণ বুঝেছেন নির্মাতারা। সেজন্যই হয়তো শিমুলকে এইভাবে গড়া হয়েছে, তাই না!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version