Sreelekha Mitra: ‘এত মোটা হয়ে যাচ্ছেন কেন?’ বডি শেমিং-এর কড়া জবাব দিলেন শ্রীলেখা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sreelekha Mitra: টলিউডের স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী তিনি। মনের কথা বলতে কখনোই পিছুপা হন না। সেইসঙ্গে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিতেও ঘাবড়ান না এই নায়িকা। যে কারণে প্রায় সময়ই সংবাদপত্রের শিরোনামে নাম উঠে আসে তাঁর। যদিও কোনও কন্ট্রোভার্সিকে একদমই কেয়ার করে না এই অভিনেত্রী, তবুও! এবার শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) নাচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অভিনেত্রী মানেই যে তিনি রোগা হবেন, এমনটা নয়। আবার তাঁকে দেখতে ফর্সা হতে হবে, এমনও নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে তারকা মানেই এই ধারণা রয়ে গিয়েছে। যে কারণে এবার বডি শেমিং-এর শিকার হলেন শ্রীলেখা। Instagram-এ একটি রিল ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে পুরনো দিনের গানে জমিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্লিভলেস ব্লাউজ আর গেরুয়া-গোলাপি হ্যান্ডলুম শাড়ি পরে তাঁর নাচ কার্যত ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে।

কেউ মন্তব্য করেন, ‘কাতলা মাছের মতো লাগছে’। কেউ লেখেন, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে। বিচ্ছিরি লাগছে’। কারোর প্রশ্ন, ‘মোটা হয়ে যাচ্ছেন কেন?’ আর তারপরেই এই অভিনেত্রীর পাল্টা জবাব, ‘খেতে ভালবাসি তাই গো’।

টেলিভিশন বা সিনেমায় কাজ করেন বলে ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে, এমনটা কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু সেরকমই মনে করেন কিছু মানুষ। যে কারণে অভিনেত্রীদের মোটা হতে দেখলে, তাঁদের নিয়ে নানা কথা বলতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। মাঝেমধ্যেই নিজেদের প্রতিদিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে থাকেন তারকারা। কখনও রিল ভিডিও পোস্ট করেন, তো কখনও ছবি। এবার সেরকমই রিল ভিডিও পোস্ট করে সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের একমাত্র মেয়ে ঐশীর নৃত্যনাট্য দেখতে হাজির হয়েছিলেন শ্রীলেখা। আর সেই লুকেই নিজের ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। মায়ের কর্তব্য পালনে সব সময় এগিয়ে থাকেন তিনি। ব্যস্ততার মাঝেও মেয়েকে সময় দিতে ভুলেন না। প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে মেয়ের জন্মদিন পালন করতে কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০০৩-এ শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। বিয়ে ভাঙলেও আজও তাঁর প্রাক্তন স্বামী তাঁর কাছে বন্ধুর মতো। যে কারণে একসঙ্গে মেয়ের জন্মদিন পালন করেছেন দু’জনে। আর ছদিন সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়েছেন তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version