Sabyasachi on Aindrila: ‘কে বলে মিরাকেল হয় না?’ প্রমাণ করলেন ঐন্দ্রিলা, আশার আলো জাগালেন সব্যসাচী

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sabyasachi on Aindrila: জেদি, লড়াকু, শক্তিশালী শব্দের মানে ঐন্দ্রিলা। হাসপাতালে লড়াই জারি রেখেছেন অভিনেত্রী। তাঁর সেরে ওঠার জন্য প্রার্থনায় হাতজোড় করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। অবশেষে কাজে এসেছে তা। চিকিৎসকদের সমস্ত কথাকে মিথ্যে করে দিয়ে ফের আশার আলো দেখালেন অভিনেত্রী। “ঐন্দ্রিলা আছে, থাকবে”, জানালেন সব্যসাচী।

বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। হার্টরেট ড্রপ করে ৪০-এর নীচে নেমে যায়। ঘাবড়ে যায় সবাই। তারপর বহু প্রচেষ্টার পর হার্টবিট ১২০ পৌঁছায়। শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরোসার্জনকে ডেকে আনা হয়। তিনি জানিয়ে দেন যে, ‘ও চলে গেছে অনেক আগেই, শুধুশুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? লেট্ হার গো পিসফুলি’। সময় যত এগোতে থাকে, তত ভয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ফেসবুকের কল্যাণে কারা যেন মাঝরাতে ছড়িয়ে দিয়েছে যে, ‘ঐন্দ্রিলা আর নেই’। শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব্যসাচীর পোস্টে শান্ত হয় সবকিছু।

যখন সবাই ধরেই নিয়েছিলেন আর কিছু করার নেই, তখনও হার মানেননি অভিনেত্রীর ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী। কিন্তু অন্যদিকে ডাক্তারের কথায় নিজেকে দোষীও ভাবছিলেন অভিনেতা। নেটমাধ্যমে লেখেন, “বিকেলের পর দেখলাম হাত, পা, মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার, শরীর ঠান্ডা। হার্ট রেট কমতে কমতে ৪৬, বিপি ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই মাথায় ঘুরছিলো, আর নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল। ওর মাকে বললামও কি দরকার ছিল এত কিছু করার, শান্তিতে যেত। কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি, মায়ার টান বড় কঠিন”। আর এই সমস্ত কিছুর মাঝে ঘটল সেই অলৌকিক ঘটনা। ঠিক রাত আটটায় হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। সব্যসাচী বলছেন, “খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে”।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সব্যসাচী জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমনকি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো”। এত সহজে কে যেতে দিচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে। যেভাবে বারবার সমস্ত বাজে কিছুকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন অভিনেত্রী, এবারেও সেভাবেই ফিরে আসবেন তিনি। অন্যদিকে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘যার সঙ্গে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং। এত নেগেটিভিটির মাঝে ইনিই একটামাত্র মানুষ, যে আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়’।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version