পপি কিচেনে পপির বদলে রান্না করছে কে ? বরের যত্নে খুশী পপি, বড়দিনে কোন সারপ্রাইজ ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

মা হবেন পপি, আর কদিন তাই এখন মাটিতে বসে রান্না কমিয়ে দিয়েছেন। পপির বদলে রান্নাঘরের দায়িত্ব অন্য় আরেকজনের কাঁধে জানেন তিনি কে? বদলে যাচ্ছে পপি কিচেন ভ্লগ। ফেস্টিভ মুডে বাঙালি বড়দিনের আগেই পপি বিশেষ চমক দিয়েছে কী বলুনতো! পপি দূর থেকেই সব বুঝিয়ে দিলো হরেক রকম পদ সাজিয়ে যে এতোদিন সকলকে খাওয়াতো তার এখন অনেক কিছুই খাওয়া বারণ। গ্রামে হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা। শীতেই আরো কষ্ট পাচ্ছেন পপি সবটা জানালেন তাঁর স্বামী বাড়িতে সকলের যত্নে বউয়ের জন্য বিশেষ কোন কাজটা করছেন বরমশাই?

ভোরবেলায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা গ্রামের রাস্তাঘাট। এতো সকালেই রোজ উঠে পপি। শরীর এখন দুর্বল। তবুও গ্রামের মেয়ে সব কিছু নিজে হাতে করতেই ভালোবাসেন, ছেলেকে রেডি করে স্কুলে পাঠান। আগের মতো পুকুরে সাঁতার কেটে মাছ ধরতে পারছে না পপি। সেসব এখন বারণ। কত খাবারের পদ তাঁর জানা। তাঁকে রান্না দিয়েই চিনেছে কত মানুষ। সেই পপি মাটিতে বসছেন কম। বউমার শরীর খারাপ দেখে নিজেই এগিয়ে এসেছেন শাশুড়িমা। তিনিই এখন বেশিরভাগ ভিডিওতে রান্না করছেন। এভাবেই চলছে পপি কিচেন। আর পাশে বসে থাকে পপি। এক ভ্লগে দেখা গিয়েছে পপি নিচু হয়ে বসে জুতো পরতে পারছে না তাঁর স্বামী পরিয়ে দিচ্ছেন বউকে যত্নে রেখেছেন যে ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

শীতে পীঠে পুলি ছাড়া ভালো লাগে নাকি! বড়দিনের আগে শাশুড়িমা বানালেন মুগপাহন পিঠে। পপির আবদার বলে কথা। পাশে বসে সাহায্য করছে বউমা। মুগডাল বেটে রান্না করা সহজ কথা নয় তাই হয়তো পপিকে করতে দেননি শাশুড়িমা। গ্রাম বাংলার পরিবেশে রান্না মুগ্ধ করে সকলকে। সেজন্যই তো পপির এতো নাম ডাক। আর মুগ্ধ করে তাঁর সরলতাকে। মাঝে মাঝেই কলকাতায় পপি যাচ্ছেন ডাক্তার দেখাতে। বাধ্য হয়ে দূরেি আসতে হয়। হাসপাতালে কত চেনা মুখ এগিে এসে কথা বলেন। রান্নার গুণে পপি আজ এই জায়গায়।

যেসব পরিবারে শুধুমাত্র রান্না জানে বলে কথা শুনতে হয়। পপি তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন চাইলে কী না হয়। পপি সুস্থ থাক, ভালো থাক চাইছেন সকলেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version