।। প্রথম কলকাতা ।।
Kar Kache Koi Moner Kotha: কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালে ফুলশয্যার দিনে মা-ছেলে এক বিছানায়। এদিকে নতুন বউ চেয়ারে ঘুমোচ্ছে! ছেলে-বউয়ের সাথে ফুলশয্যার বদলে তা হল মায়ের সঙ্গে! এসব কী দেখানো হচ্ছে! নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শেষে টিআরপি টানতে আর কত নীচে নামবে সিরিয়ালের গল্প? কার কাছে কই মনের কথা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আসলে কী হয়েছে জানুন। জি বাংলায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। শুরুতেই শাশুড়ি আর বউমার লড়াই। ঝগড়া, কথা কাটাকাটি লেগেই ছিল। কিন্তু এবার যা দেখানো হল তাতে চোখ কপালে উঠেছে দর্শকদের।
শিমূল শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই শাশুড়ির তাঁকে পছন্দ হচ্ছে না। পরাগও মায়ের বাধ্য ছেলে ফুলশয্যার রাতে পরাগ কোনও উপহার আনে না নতুন বউ-এর জন্য। এদিকে শিমূল বরকে দেবে বলে আংটি নিয়ে আসে। যেই শিমূল আর পরাগ গল্প করতে শুরু করেছে ওমনি পরাগের মা হাজির। তার নাকি প্রচন্ড শরীর খারাপ। সেই নাটক করতে করতে ফুলশষ্যার বিছানাতেই শুয়ে পড়ে।
শেষমেশ দেখা যায় ফুলশষ্যার খাটে ছেলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাকল মা। আর নতুন বউয়ের জায়গা হল চেয়ারে। সিরিয়ালে এই দৃশ্য দেখেই দর্শকদের নিন্দার ঝড়। ফুলশয্যা ভন্ডুল করতে ছেলের মায়ের এন্ট্রি অনেক সিরিয়ালেই দেখানো হয়েছে এর আগেও। কিন্তু কার কাছে কই মনের কথায় যেন সবকিছুর মাত্রাকে ছাপিয়ে গেল। অনেকেরই দাবি, ফুলশয্যার খাটে মা-ছেলেকে না দেখালেই পারতেন। টিআরপি বাড়ানোর জন্য এমনটা না হলেই হত।
মানালি দে-র স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন দ্রোণ। শাশুড়ি হয়েছেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী। সৌনক রায় রয়েছেন মানালির দেওরের চরিত্রে। স্বামী-শাশুড়ি তো বউয়ের কথা বুঝতেই চায় না। মনের কথা বোঝে পাশের বাড়ির বউদিরাই। অনেকেই আশা করেছিলেন মানালি, স্নেহা-বাসবদত্তাদের নিয়ে এই সিরিয়াল হয়তো প্রথম সপ্তাহ থেকেই টিআরপি-তে উপরের দিকে থাকবে। তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও টিআরপি-র সেরা দশে জায়গা করে উঠতে পারেনি। সেই জন্যই কি গল্পের মোড় এভাবে ঘোরানো হল? দর্শকরা বলছেন সব ঠিক ছিল কিন্তু ছেলে ও মায়ের সম্পর্কটাকে তো নোংরা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম