সৃজিতকে নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী কোন কথা বলতে বাধ্য হলেন ? চরকি দিয়েই দুই বাংলা একাকার

।। প্রথম কলকাতা ।।

ও পার বাংলা থেকে এ পারে এল ‘চরকি’! দুই বাংলাকে মিলেমিশে এক করতে চান চঞ্চল চৌধুরী। নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রথম কলকাতাকে। সৃজিতের সাথে কাজ করে কেমন লাগলো তাঁর? বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওটিটি মাধ্যম ‘চরকি’ এ বার ভারতে। থাকছে একাধিক চমক। বিগত কয়েক বছরে ওটিটির গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে অতিমারির পর জাতীয় এবং আঞ্চলিক স্তরে সিনেমাকে রীতিমতো টক্কর দিচ্ছে বিভিন্ন ওটিটি মাধ্যম। ভারতের বাঙালি দর্শকের ওয়াচলিস্টে এখন বাংলাদেশের কনটেন্টও জায়গা করে নিয়েছে। এ পার বাংলার দর্শক এখন মুখিয়ে থাকেন ও পার বাংলার চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিম বা জয়া আহসানের অভিনয় দেখতে। বিষয়টা মাথায় রেখেই বাংলাদেশের প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’ এ বার পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে পা রাখতে চলেছে। বুধবার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল।

শুধু বাংলাদেশ নয় পশ্চিম বঙ্গেও চঞ্চল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এ পর্যন্ত টলিউডে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সেই ধারাবাহিতাও অব্যহত রয়েছে অভিনেতার। এরমধ্যেই ভারতে বাংলাদেশের ওটিটি প্লাটফর্ম ‘চরকি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ‘চরকি’। তার পর এ পার বাংলায় পা রাখার কারণ কী জানেন ? চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন, আসলে দুই বাংলার প্রতিভা কে নিয়েই কাজ করতে চাই চরকি। দুই বাংলা যেন মিলে মিশে এক হয়ে যায়। আর তাছাড়াও চরকির প্রচুর দর্শক রয়েছে এপার বাংলায়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং কিউ-এর মতো টলিপাড়ার প্রথম সারির পরিচালকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ‘চরকি’র তরফে কথাবার্তা চলছে।

বিশ্ববন্দিত পরিচালক মৃণাল সেন-এর জীবনীচিত্র বানাচ্ছেন সৃজিত। সেই ছবিতেই মৃণাল সেন-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ‘কারাগার’, ‘তকদির’-এর মতো ওয়েব সিরিজ এবং ‘হাওয়া’র মতো ছবি খ্যাত চঞ্চল চৌধুরী।
পাশাপাশি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ় ‘গণদেবতা’য় অভিনয় করার কথা তাঁর। টলিপাড়া থেকেও একের পর এক কাজের প্রস্তাব আসছে চঞ্চলের কাছে।সৃজিতের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো বলেই জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version