ভদ্রতার খেলায় এ কী করলেন সাকিব! সমালোচনায় বিদ্ধ বাংলাদেশ অধিনায়ক

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টাইমড আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কার তারকা ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। আসলে সাদিরা সমরবিক্রম আউট হওয়ার পর ম্যাথিউজ ব্যাট করতে ক্রিজে আসেন। ক্রিজে আসার পর তিনি দেখেন হেলমেটের স্ট্র্যাপে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। ম্যাথিউজ ড্রেসিং রুমে ইশারা করেন নতুন হেলমেটের জন্য। নতুন হেলমেট আনতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারকে টাইমড আউটের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাথিউজকে টাইমড আউট দেন আম্পায়াররা।

আসলে এই টাইমড আউট বিষয়টা কী? কী বলছে এমসিসির আইন। ক্রিকেট আইনের ৪০.১.১ ধারা অনুযায়ী, উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটার অবসৃত হওয়ার পর নতুন ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটার আউট হবেন। সেই আউট টাইমড আউট নামে পরিচিত। তবে চলতি বিশ্বকাপের জন্য নিয়মটা কিছুটা পরিবর্তন করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সেক্ষেত্রে ৩ মিনিট নয়, ব্যাটারকে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ২ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত থাকতে হবে। আর ম্যাথিউজ সেই সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারেননি। ফলে আইন মেনেই তাঁকে টাইমড আউট করা হয়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই আচরণ দেখার পর ম্যাথিউজ নিজেও যথেষ্ট অবাক হয়ে যান। বিস্মিত হয়ে যান আম্পায়ারাও। বিশ্ব ক্রিকেটের অগণিত ক্রিকেট সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই সাকিব আল হাসানের সমালোচনা শুরু করেছেন। যদিও ম্যাথিউজের আগে সৌরভ গাঙ্গুলি হতে পারতেন প্রথম টাইম আউটের শিকার। প্রায় ১৬ বছর আগের ঘটনা। ২০০৭ সালে কেপটাউনে আয়োজিত দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে এমনই এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। যদিও সেইসময় ব্যাট করার কথা ছিল না সৌরভের। কিন্তু কারণবশত তাঁকেই দ্রুত নামতে হয় তাঁকে ব্যাট করতে। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

সমর্থকদের মতে, ক্রিকেটকে এতদিন ভদ্রলোকের খেলা বলা হত। কিন্তু সোমবার সাকিব যে মানসিকতার পরিচয় দিলেন, ক্রিকেটের ভদ্রতা ধুলোয় মিশে গেছে। নিয়ম বলছে, যদি সাকিব আল হাসান আবেদন না করতেন তাহলে আম্পায়ার কখনই টাইমড আউটের সিদ্ধান্ত জানাতে পারতেন না। কারণ এই খেলায় কখনও কখনও দেরি হতেই পারে। অনেক সময়ই দেখা গেছে ব্যাটাররা ব্যাট, গ্লাভস চেয়ে পাঠান। কেউ কখনও এমন আউটের আবেদন আগে করেননি। যে কারণে সকলে একবাক্যে স্বীকার করছেন যে সাকিবের এই মানসিকতা একেবারেই অখেলোয়াড়সুলভ। অনেকে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে যে এমন মানসিকতার কারণেই বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আর উন্নতি করতে পারল না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version