।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতে খেলা হলে বড় বড় তারকারা আম্পায়ারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। বড়সড় অভিযোগ আনলেন ভারতীয় আম্পায়ার। ভারতীয় আম্পায়ার নীতিন মেননের এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই মন্তব্যের পর পর স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বিরাট কোহলির দিকে ইঙ্গিত করেছেন নীতিন? কারণ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের সময় অজিদের বিরুদ্ধে একটি আবেদন ‘না’ করে দেওয়ার বিরাটকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে কোহলি হলে তো নিশ্চয়ই আউট দিয়ে দিতেন নীতীন। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে সবার আগে এগিয়ে থাকবেন বিরাট কোহলি। কত বার যে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন আম্পায়ারদের প্রতি, তার হিসাব নেই।
মূলত নীতিন জানিয়েছেন, ম্যাচের সময় অনেক ভারতীয় তারকা আম্পায়ারের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন। যাতে স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে ফিফটি-ফিফটি পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে রায় দেন। তবে আমি সেসব চাপ সামলিয়ে নিই। একারণ আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলে ওরা কী করছে সেটা নিয়ে বিশেষ ভাবতে হয় না। ভারতীয় আম্পায়ার বলছেন, কোনও ম্যাচে নামার আগে আমরা জানি ওই ম্যাচে কে কে খেলতে পারেন, তাঁরা কী রকম আচরণ করতে পারেন। তাঁদের কীভাবে সামলাতে হবে, সেসব নিয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া থাকে। চাপের মুহূর্তে কীভাবে নিজের স্নায়ু ঠিক রাখতে হবে, ক্রমাগত সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন নীতিন। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই অ্য়াশেজের মঞ্চে সাফল্য পেতে চান ভারতীয় আম্পায়ার নীতীন মেনন। হয়ত সেই কারণেই নতুন করে তিনি এবং তার মন্তব্য চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, নীতিন মেননের সঙ্গে একাধিকবার তর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলিকে । সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে কোহলি মেননের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। বিতর্ক তৈরী হয় বর্ডার গাভাসকার ট্রফিতে বিরাটের একটি আউট নিয়েও। ভারতের যেসব আম্পায়ার রয়েছেন ICC-র এলিট প্যানেলে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নীতিন মেনন। আইপিএলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তিনি আম্পায়ারিং করে থাকেন। একাধিক সময় তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। ঠিক তেমনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য একাধিকবার দেখা গিয়েছে খেলোয়াড়দের তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়তে।
২০২০ সালের জুন থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫টি টেস্ট, ২৪টি ওয়ান ডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দায়িত্ব সামলেছেন মেনন। সামনের মাসেই অ্যাশেজেও আম্পায়ার হিসেবে নিজের অভিষেক করবেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে তাঁকে। ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের কাজকে ‘থ্যাঙ্কলেস জব’ বলা হয়ে থাকে। ভাল সিদ্ধান্তের কোনও সার্টিফিকেট তেমন না থাকলেও একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য প্রবল সমালোচিত হতে হয় আম্পায়ারদের তারই প্রমান পাওয়া গেল আর একবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম