।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফিরে গেছে আর্জেন্টিনা দল। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরে তৃতীয়বার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির স্মৃতি অক্ষত রাখতে তাঁর থাকার ঘরটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে অন্যান্য সকল দল হোটেলে থাকলেও মেসিরা ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। সেখানে থেকেই নিজের স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয়ের পথটা তৈরি করেছিলেন মেসি। মেগা টুর্নামেন্ট চলাকালীন সেই ছাত্রাবাসকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তার চাদরে। অনুশীলন মাঠের কাছাকাছি থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর্জেন্টিনা দল।
মেসিদের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছিল কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস। ঝাঁ চকচকে ছাত্রাবাস দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটা হোটেল নাকি ছাত্রাবাস। মেসিদের জন্য আয়োজনের কোন ত্রুটি রাখেনি কাতার প্রশাসন। কি ছিল না সেখানে, অত্যাধুনিক জিম, সুইমিং পুল থেকে দশ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামও ছিল এই ছাত্রাবাসে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই ছাত্রাবাসের বি-২০১ নম্বর ঘরে থাকতেন লিওনেল মেসি। মেসির ব্যবহৃত ঘরটিই এবার বানানো হবে জাদুঘরে। মেসির নামেই তৈরি হবে জাদুঘর।
মেসিকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ঘরে থাকা মেসির ব্যবহৃত কোন জিনিস থেকে ঘর কোনকিছুই বদল করা হয়নি। জানা গেছে কাতার প্রশাসনের তরফে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে যে মেসিকে দিয়েই সেই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করানোর।
১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে রূপকথার গল্প লিখেছিলেন লিওনেল মেসি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। অনেকেই বলছেন এই ফাইনালই নাকি সর্বকালের সেরা। রূপকথার নায়কের সেই স্মৃতি আজীবন রেখে দিতে এবং দর্শকদের সামনে ফুটবলের বরপুত্রের ব্যাবহৃত সামগ্রী দেখার সুযোগ করে দিয়েছে কাতার প্রশাসন। একটি হোয়াইট বোর্ডে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সইও সংগ্রহ করা হয়েছে। এই উদ্যোগে খুশি গোটা ফুটবল বিশ্ব। কাতার প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের খবর চাউর হতেই প্রিয় তারকার ব্যাবহৃত সরঞ্জাম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা।