বিশ্বকাপের একটা ম্যাচেই শেষ বিশ্বকাপ অভিযান, বিস্ফোরক অশ্বিন!

।। প্রথম কলকাতা ।।

অক্ষর প্যাটেলের চোট, আর ভাগ্যক্রমে ভারতের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়ে যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে জায়গাও পেয়ে যান ভারতের অভিজ্ঞ এই অফ-স্পিনার। চিপকে সেই ম্যাচে ক্যামরেন গ্রিনের উইকেটও দখল করেন তিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচই শেষ ম্যাচ হয়ে যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ফাইনালে মোতেরার মন্থর পিচে অশ্বিন অজিদের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবেন বলে আশা করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারতের প্রথম একাদশ রদবদলের পথে হাঁটেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। অনেকেই বলেছেন, একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে দলে এনে কেন বসিয়ে রাখা হলো? নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হতাশা ব্যক্ত করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

তিনি বলেন, কখনও ভাবিনি আমার বিশ্বকাপ অভিযান প্রথম ম্যাচের পরেই শেষ হয়ে যাবে। ভালো ছন্দেই ছিলাম আমি। ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলে ফিরতেই পারতাম। হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পেয়ে গেল। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হার্দিক পাণ্ডিয়া। পাণ্ডিয়ার পরিবর্ত হিসেবে দলে দ্বিতীয় কোনও অলরাউন্ডার ছিল না। যদিও হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ার পর অশ্বিনের দলে ফেরার পর একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দলে ঢোকেন মহম্মদ শামি। এরপর গোটা টুর্নামেন্টেই দাপিয়ে বোলিং করেন ভারতীয় এই পেসার। ফলে বিশ্বকাপে আরও কোনও ম্যাচ খেলতে পারেননি অশ্বিন। ফাইনালে অজিদের বিপক্ষে ভারতের হারের পর, অনেকেই বলেছিলেন অশ্বিনকে নিলে দলের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। অনেক সমর্থক আফসোস প্রকাশও করেন।

অশ্বিনের গলাতেও শোনা গেল সেই আফসোসের সুর। কারণ এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে আর বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নেই অশ্বিনের। ফলে শেষ বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অপ্রত্যাশিতই ছিল অশ্বিনের কাছে। যে কারণে ভারতীয় দলের এই সিনিয়র স্পিনার যে বেশ হতাশ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আন্তর্জাতিক ওডিআই কেরিয়ারে ১১৬ ম্যাচে ১৫৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে ১৮টি উইকেট রয়েছে অশ্বিনের ঝুলিতে। ভারত এবার কাপ জিতলে বিরাট কোহলির সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পারতেন। কিন্তু ক্রিকেট দেবতা হয়তো তা চাননি। তাই সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো অশ্বিনের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version