FIFA World Cup 2022: হার না মানা এক লড়াকু তরুণের স্বপ্নের ইতিহাসের হাতছানি

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

বাঁ পায়ের জাদুতে যেকোন সময় বদলে দিতে পারেন ম্যাচের রঙ। তিনি ছন্দে থাকলে জয়ের পাহাড় গড়ে আর্জেন্টিনা। সবুজ গালিচায় ডস, ড্রিবল দিয়ে ভেদ করতে পারেন প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ। তাঁর পায়ে বল থাকলে বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ত্রাস তিনি। তিনি আর কেউ নন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের পরপর দুইবার বিশ্বজয়ের সামনে সবথেকে প্রতিবন্ধকতা এই সাড়ে পাঁচ ফুটের মানুষটি। যাকে স্বপ্নের জাল বুনছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তবে মেসিকে রুখতে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশচ্যাম্পের তুরুপের তাস কিলিয়ান এমবাপে। বয়স মাত্র ২৩। তাঁর তারুণ্যের দীপ্তিতেই ইতিহাস লিখতে চান ফরাসি কোচ।

 

কিলিয়ান এমবাপে ছোট থেকেই ফুটবল অন্ত প্রাণ ছেলেটা। ফুটবলে এমবাপের আদর্শের নাম যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তা সকলেরই জানা। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে চোখের জলে বিদায় নিয়েছে এমবাপের আদর্শ। অন্যদিকে এমবাপে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। রবিবাসরীয় ফাইনালে মেসির স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে ঠাঁই করে নেবেন কিংবদন্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ক্ষিপ্র গতিই এমবাপের একমাত্র শক্তি। দাঙ্গা ও হাঙ্গামার মধ্যে বেড়ে ওঠা ছেলেটার গতির হার মেনেছে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা।

 

চলতি বিশ্বকাপেও একাধিকবার দেখা গেছে এমবাপে ক্ষিপ্র গতি। উল্কার গতিতে ঢুকে গিয়ে এলোমেলো করে দেন প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ। এই এমবাপেকেই ভয় পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। এমবাপের গতির কাছেই স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে আলবিসেলেস্তেদের। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ২৩ বছরের ছেলেটার একটা দৌড়ই ধূলিসাৎ করে দিতে পারে সবকিছু। এমবাপে কোন ধাতুতে তৈরি তা আর্জেন্টিনা ছাড়া ভালো কেউ জানেনা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে এমবাপের দৌড়ের কাছেই পরাজিত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আজ ফাইনালে যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে মেসি সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য।

 

দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে অনেক জবাব দেওয়া বাকি ফরাসি ফরোয়ার্ডের। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের জয়ের নায়ক ইউরো কাপে পেনাল্টি মিস করে রাতারাতি খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় বারবার তাকে পড়তে বর্ণবৈষম্যের আক্রমণে। একটা সময় তো জাতীয় দলে না খেলার কথাও জানিয়েছিলেন এমবাপে। সেই এমবাপেই এখন ফরাসিদের স্বপ্নের প্রাণভোমরা। তাঁর হাত ধরেই স্বপ্নের জাল বুনছে ফরাসিরা। ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতলে জয় হবে হার না মানা এক লড়াকু তরুণের।

Exit mobile version