ব্রিটিশদের দর্পচুর্ণ করে আফগানদের হুঙ্কার, পরপর চারবার দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হার ইংল্যান্ডের

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিশ্বকাপের মঞ্চে তথাকথিত ছোট দলের বিরুদ্ধে হার ইংল্যান্ডের কাছে নতুন নয়। পর পর চারটি বিশ্বকাপেই সেটা দেখা গিয়েছে। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ড হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এবারেও বিশ্বকাপের মঞ্চে কম শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে হারের ধারা অব্যাহত রাখল ইংল্যান্ড। গত বারের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের মাটি ধরিয়ে দিলেন আফগানরা। রবিবার ৬৯ রানে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরাজিত হল ইংল্যান্ড।

২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালে তারা একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি। চলতি বছরও তারা বাংলাদেশ ও ভারতের বিরুদ্ধে পরপর দুটো ম্যাচে পরাজিত হয়। কিন্তু এবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ে ফিরল আফগানরা। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল আফগানিস্তান। পাশাপাশি ১৪টা ম্যাচ হারের ধারা ভাঙল রশিদ খান, গুড়বাজরা। সেইসঙ্গে ব্রিটিশদের পরাস্ত করে রেকর্ড তৈরি করে আফগানরা।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। তাদের ফাইনাল জয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সেটা নিয়ে জল আর বেশিদূর গড়ায়নি। সেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবার ধুঁকছে। তিনটে ম্যাচের দুটিতে হার মানতে হয়েছে তাদের। এদিন আফগানিস্তানের মত দুর্বল দলের বিপক্ষেও হারতে হল তারকা খচিত ইংল্যান্ডকে।

২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। কেভিন ও ব্রায়েন করেছিলেন ১১৩ রান। এছাড়াও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সামনে ২৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ইংল্যান্ডের শেষ হয়ে যায় ২৬০ রানে। রুবেল হুসেন নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড। সেই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল তারা। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ২৩২ রান করেছিল। সেই রান তুলতে গিয়ে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে গিয়েছিল ২১২ রানে। লাসিথ মালিঙ্গা একাই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version