।। প্রথম কলকাতা ।।
পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে জাপানের পর দ্বিতীয় এশিয়ান দল হিসেবে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়ে বিদায় নিল ঘানা ও উরুগুয়ে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছাল পর্তুগাল। পেনাল্টি সহ একাধিক সুযোগ হাতছাড়ার খেসারত দিল ঘানা। একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজের কাজ করতে পারল না তাঁরা। জর্জিয়ান আররাসকায়েতার জোড়া গোলে জয় পেলেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল উরুগুয়েও।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করে গ্রুপ শীর্ষে থাকা পর্তুগাল। ম্যাচের ৫ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় পর্তুগিজরা। দিয়োগো দালোতের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রিকার্ডো হোর্তা। বিশ্বকাপের অভিষেকেই গোল করলেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তবে শেষ ষোলোয় টিকে থাকার লড়াইয়ে সমতায় ফিরতে বেশি সময় লাগল না দক্ষিণ কোরিয়ার। ২৭ মিনিটে কোরিয়াকে সমতায় ফেরান কিম ইয়ং-খুয়ান। কর্নার ক্লিয়ার করতে না পারায় রোনাল্ডোর গায়ে লাগা বল পেয়ে আলতো টোকায় গোলে পাঠান কোরিয়ান ডিফেন্ডার। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ গড়ে তোলে পর্তুগাল। দুটি ভালো সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন রোনাল্ডো। যার ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে পর্তুগাল। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছিল না তাঁরা। আক্রমণের ধার বাড়াতে রোনাল্ডোকে তুলে আন্দ্রে সিলভাকে নামায় পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তবে আখেরে লাভ কিছুই হয়নি। সুযোগ তৈরি করলেও কোরিয়ার জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারল না। পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে কোরিয়ার। একটু একটু করে শেষ হয়ে আসছিল সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ। এরপরই ঘটে প্রত্যাবর্তন। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই গোল করে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় নিশ্চিত করেন হি চান।
অন্যদিকে আল জানোব স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে জর্জিয়ান আররাসকায়েতার জোড়া গোলে জিতলেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো উরুগুয়েকে।শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করে ঘানা। শেষ ষোলোয় টিকে থাকার লড়াইয়ে শুরুতেই ভালো সুযোগ পেয়েছিলে আফ্রিকান দলটি। কিন্তু ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি আন্দ্রে আইয়ু। আইয়ুর দুর্বল শট রুখে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক সের্জিও রোচেত। আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে ওঠে উরুগুয়ে। ৬ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলে এগিয়ে যায় ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলই সুযোগ গড়ে তুললেও গোলের দেখা পায়নি। অন্য ম্যাচে কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন লুইস সুয়ারেজরা। শেষ মুহূর্তে গোল করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গোল পার্থক্য সমান থাকায় গোল বেশি করার সুবাদে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল দক্ষিণ কোরিয়া।