।। প্রথম কলকাতা ।।
Sohini Sarkar-Trina Saha: “শিল্পী নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মান অর্জন করে এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাবতীয় সব কিছু পাওয়ার জন্য”। ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজের আর্টিস্টের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমনটাই লিখেছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। ক্যামেলিয়ার এই ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে দুই অভিনেত্রীর চাপা বিবাদ কারোর অজানা নয়। প্রশ্ন ওঠে, এই ক্ষতির দায় কে নেবে? তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমে চলতে থাকে তুমুল জল্পনা। এবার প্রকাশ্যে এল সোহিনীর বক্তব্য। ‘প্রথম কলকাতা’র কাছে সেই মেসেজ ফাঁস করলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। তৃণার মতে, তার নামে ভুল বলা হচ্ছে।
মাতঙ্গীর আর্টিস্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কয়েকটা কথা লিখেছেন অভিনেত্রী সোহিনী। জানিয়েছেন, প্রোডাকশন এবং পরিচালক টিমের কাছে বিনীত অনুরোধ, অভিনেতা অভিনেত্রীদের ঠিক কি কি প্রয়োজন যেমন বাথরুম নিজস্ব মেকআপ রুম লাঞ্চ ডিনার আর যাবতীয় যা যা থাকে সেই প্রয়োজনীয়তা গুলো কথা বলে মিটিয়ে নিতে হবে। তাহলে কাজটা করতে সবার সুবিধা হয়। “শুটিং ফ্লোরে সরস্বতীর সাধনা হয়। এটা ইগো, ইনসিকিউরিটি, পাওয়ার ট্রিপ, দেখানোর জায়গা নয়। আজ একবার ইচ্ছে হয়েছিল ফ্লোর থেকে বেরিয়ে যাই, পারিনি। নিজের কাজকে অসম্মান করে বেরিয়ে যেতে”। আরো বলেন, সবাই যদি নিজেদের ইগোটা সরিয়ে বাজেটের মধ্যে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজটা করতে পারেন তাহলে প্রযোজক রুদ্রনীলের মত মানুষ আরো একটা কাজ করার সাহস পাবেন। এক্ষেত্রে যাতে অর্থনৈতিক কোনো ক্ষতি না হয় সেটা বোঝা দরকার। সেটা দেখার দায়িত্ব প্রত্যেকের। শুটিং ফ্লোরে চিৎকার, ভয় দেখানো কখনোই বাঞ্ছনীয় হবে না। “ঠিক সময়ে প্যাক আপ করে, শরীর মন সুস্থ রেখে, নিজের প্রাপ্য বুঝে, সবার প্রতি সম্মান রেখে ফ্লোরটাকে বাজারে পরিণত না করে কাজটা শেষ হবে আশা রাখছি”।
অপরদিকে তৃণার দাবি, তার নামে ভুল বলা হচ্ছে। তিনি কোন পার্সোনাল মেকআপ আর্টিস্ট কিংবা হেয়ার চাননি। একটা বেসিক মেকাম রুম চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। একদিন প্যাক আপের সময় দেখেন তার কস্টিউম যেখানে রেখে গিয়েছিলেন সেখানে নেই। পড়ে আছে অন্য ঘরে। সোহিনীর সঙ্গে তার কোন প্রতিযোগিতা নেই। সোহিনী তার থেকে অনেক সিনিয়ার। এই বিষয়ে ‘প্রথম কলকাতা’ সোহিনী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়নি।
ছবিটির প্রযোজক রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ‘প্রথম কলকাতা’কে জানান, তিনিও তৃণাকে অনুরোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাদের এখানে প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে। সে কথা শোনেননি তৃণা। সেই দিনের শুটিংয়ে প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ জলে গেল। শুধুমাত্র তৃণার জন্য। প্রযোজকের আরো মতামত, তারা তৃণার বিরুদ্ধে কোনরকম স্টেপ নেবে না। হয়ত এটা অন্যান্য হাউস হলে এর সম্পূর্ণ দায় তৃণার উপর দেওয়া হত। যেহেতু তৃণা প্রোডাকশন হাউস এবং প্রযোজকের বন্ধু, তাই তার বিরুদ্ধে সে সবকিছু করছে না। তবে অভিনেতা-প্রযোজক রুদ্রনীল ঘোষের দাবি, একটু মাথা ঠান্ডা করে বিবেচনা করা উচিত। ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে, সুতরাং কাজ করার আগে ভেবে চিন্তে তবে কাজ করা উচিত। ইন্ডাস্ট্রিত দুই তারকার এমন বিবাদ আগেও দেখা গিয়েছে, কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। এমন তোলপাড়ও হয়নি। তৃণা আগেই জানাতে পারতেন তার ঠিক কি চাই। তৃণা সাহা শুটিং ফ্লোর ছাড়ার পর এই ওয়েব সিরিজের কাজ ঠিক কত দূর এগোবে এই নিয়েও নানান ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও তৃণা এই ওয়েব সিরিজে আর কাজ করবেন না। তাহলে কি, সোহিনীর এই ধরনের বক্তব্যের পর এই বিতর্ক আরো বাড়বে? উত্তর দেবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম