।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। তুলনামূলক দুর্বল আফগানিস্তানকে পরাস্ত করে মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা ছিল টাইগাররা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ব্যর্থ সাকিববাহিনী। ব্যাটিং ও বোলিং সবেতেই মুথ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ। বোলিং শেষের দিকে কিছুটা মান রাখতে পারলেও ব্যাটিং পারল না। ইংল্যান্ডের বড় রানের সামনে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম বাদে আর কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না। ফলে ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানে লজ্জার পরাজয় বাংলাদেশের।
এই ম্যাচের হারের যন্ত্রণা কমতে না কমতেই বড় শাস্তির কবলে পড়ল বাংলাদেশ। যদিও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে মাঠেই একটি শাস্তি পেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। স্লো ওভার রেটের কারণে শেষ ২ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ১ জন ফিল্ডার কম রাখতে পেরেছে। এ তো গেল মাঠের শাস্তি, এবার স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হল সাকিব আল হাসান সহ গোটা বাংলাদেশ দলকে। নির্ধারিত সময়ে ১ ওভার বোলিং কম করেছে বাংলাদেশ দল। এই কারণে বাংলাদেশ দলকে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২২ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করেছেন।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাচ শেষ করার জন্য স্লো ওভার রেটের নিয়ম চালু করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। বর্তমানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার জন্য ম্যাচের মধ্যে বারবার সতর্ক করা হয়। কতগুলি ওভার পিছিয়ে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয় মাঠের মধ্যে। এটি করার কারণ ফিল্ডিং করা দলের অধিনায়ক সেই হিসেবে বল করিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে ম্যাচটি শেষ করেন। বাংলাদেশ ম্যাচের ক্ষেত্রেও সেটা করা হয়েছিল। কিন্তু সাকিব আল হাসান সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে পারেননি।
এবার আসা যাক আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২২ ধারা প্রসঙ্গে। আইসিসির এই নিয়মানুযায়ী মিনিমাম ওভার রেটের নিয়ম ভাঙলে ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত সকল খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ সকলেই শাস্তি পাবেন। সেই হিসেবে ম্যাচ ফি-র ৫% জরিমানা করা হবে খেলোয়াড়দের। এছাড়াও যদি সেই অধিনায়ক নিজের ভুল স্বীকার না করেন তবে তা শুনানির পর্যায়ে যাবে। যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাঁর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। ফলে তাঁর শুনানির প্রয়োজন নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম