।। প্রথম কলকাতা ।।
Rohit Sharma: প্রথমে কোহলি। তারপর ঠিক কয়েক মিনিটের ব্যবধান। বিরাটের পথে হেঁটে আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটকে বিদায় জানালেন সদ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। বলা ভালো, সোনার মুকুট নামিয়ে রাখলেন দুই যোদ্ধা। যোগ্য রাজার মতই অবসর নিলেন বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপ জিততেই জানিয়ে দিলেন আর টি ২০ খেলবেন না তারা। এবার সময় নতুন প্রজন্মের। নতুনদের হাতে ব্যাটন উঠবে।
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের তরুণ তূর্কীরা এবার হাল ধরুক। তাদের সময় হয়ে এসেছে। এতবড় একটা মঞ্চে এই কথাটা বলার ধক রাখে কয়জন? কিন্তু তিনি তো কিং কোহলি। তিনি সব পারেন। লোভ সংবরণ করা কিন্তু এতটাও সহজ নয়। তবে এইদুটো মানুষ যে কোনোদিনই নিজের জন্য ভাবেনইনি। নিঃস্বার্থভাবে খেলা কাকে বলে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন এই দুটো মানুষ। আর সেই সাথে জিতে নিয়েছেন কোটি কোটি ভারতীয়র মন।
এটাই আমারও শেষ ম্যাচ ছিল’, বিশ্বজয়ের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা। তিনি যোগ করেন, ‘আমি যবে থেকে এই ফর্ম্যাটটা খেলা শুরু করেছি, তবে থেকে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এটাই এবার বিদায় জানানোর সেরা সময়। এটাই, এই কাপ জিততেই আমি চেয়েছিলাম।’ এরপরেই মহতারকাকে করতালির মাধ্যমে গোটা মিডিয়ারুম বাহবা জানায়। রোহিত বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটকে বিদায় জানাচ্ছেন একেবারে শীর্ষে থেকেই। তিনি ১৫৯ ম্যাচ খেলে সবার আগে ছিলেনই। দুরন্ত বিশ্বকাপের পর রানের বিচারেও বাবর, বিরাটকে পিছনে ফেলে আপাতত শীর্ষে। ১৪০.৮৯ স্ট্রাইক রেট ও ৩২.০৫ গড়ে রোহিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোট ৪২৩১ রান করেছেন। সর্বাধিক পাঁচটি শতরান হাঁকানোর রেকর্ডও যুগ্মভাবে তাঁরই দখলে।
তবে আর নয়, এবার বর্ণময় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে ইতি টানলেন ‘হিটম্যান’। তাও আবার অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বখেতাব জিতে। যদিও এটা রোহিতের প্রথম বিশের বিশ্বকাপ জয় নয়। তিনি ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে অধিনায়ক হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাত রানে হারিয়ে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ভারত। এই জয়ের সুবাদে বিশের ফর্ম্যাটের ফাইনালে অধিনায়ক রোহিতের ১০০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড অব্যাহত থাকল। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পাঁচটি ফাইনালই জিতেছেন অধিনায়ক রোহিত। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিও।
এছাড়া নিদহাস ট্রফি জয়ও রয়েছে তাঁর সিভিতে। এবার নাগাড়ে অষ্টম ফাইনাল জিতে বিশ ওভারের ফর্ম্যাটকে বিদায় জানালেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম দল হিসাবে অপরাজিত থেকে বিশের বিশ্বকাপ ঘরে তুলল টিম ইন্ডিয়া। রোহিতের বিদায়ে একটা যুগের অবসান ঘটল। এবার নতুনদের পালা। কপিলদেবের হাত থেকে ব্যাটন তুলে নিয়েছিলেন শচীন সৌরভ ধোনিরা। এবার বিরাট রোহিতদের পথ ধরে হাঁটবে নতুন প্রজন্ম। আরও নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। ভবিষ্যতেও আমাদের রেকর্ড আমরাই ভাঙব।তবে এই সমস্ত হারজিতের সমীকরণ পেরিয়ে এই দুটি মানুষের আসন থাকবে চিরস্থায়ী। কারণ বিরাট-রোহিত মানেই আবেগ। বিরাট রোহিত মানেই ইমোশন। ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাঁদের নাম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম