বড়দিনে পপি পিকনিকের মুডে, একটু মন খারাপ! ননদের কাছে আবদার করে কী চাইলেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বড়দিনে পিকনিকের মুডে পপি কিচেনের পপি। গ্রামের বাড়িতে ক্রিস্টমাস কীভাবে কাটালেন?
ননদের কাছে আবদার করে কী খেতে চাইলেন পপি? বাড়ির বাইরে বেরনো তাঁর আপাতত বারণ, দাজুর হুকুম বলে কথা। পপির মন খারাপ ঘরে বসে থাকতে না পেরে হাতা খুন্তি ধরেই ফেললেন। কোনও চাহিদা নেই তাঁর কেক এনে পপিকে খুশি করে দিল বর। শহুরে বড়দিন নয় গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোকে নিয়ে সেলিব্রেশন। এ যেন সত্যিই অন্যরকম বড়দিন। তবে পিকনিকের মটন রেঁধেছেন পপি। নয় বাড়ির বিশেষ এক সদস্য আর কী কী মেনু ছিল ? ঘুরে ঘুরে দেখালেন পপি নিজেই।

কোনও দামী রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া নয়। সেজেগুজে ফটোশ্যুট নয়। পপির বড়দিন কাটল একদম অন্যভাবে। প্রতিবছরই পিকনিক হয় নদীর পাড়ে কিন্তু এবছর পপির শরীর ভালো নেই তাই বাড়িতেই সব আয়োজন। আত্মীয় পরিজনদের সাথেই হল সেলিব্রেশন। বর একটা কেক আনতেই পপি বলে উঠে এটাতো গোটা আমিই খেয়ে নেবো।
বাড়িতে পিকনিক বলে কথা ননদের কাছে দুটো রসগোল্লা খাওয়ার আবদার বৌদির। কিন্তু কতক্ষণই বা ঘরে থাকবেন একটা সময় সকলের সাথে কাজে লেগে পড়লেন পপি। তবে পিকনিকের স্পেশ্যাল মটন ছিল জামাইয়ের দায়িত্বে। ফ্রায়েড রাইস থেকে মটন বেগুনী চাটনি মিষ্টি সবই ছিল। বর ছেলের সাথে মাটিতে বসেই খান পপি। সকলে মিলে হইহুল্লোড় করেই কাটে গোটা দিনটা। সবশেষে কামরাঙা মাখা নিয়েও হাসাহাসি শুরু হয়।

বাইরে বেরতে পারছেন না পপি। বরের কাছেই তার যত আবদার। কিন্তু তাঁর স্বামী সব কথা রাখে। গ্রামে দোকান কম। দূরে গিয়ে প্রয়োজনীয় সব কিছু এনে দেন। এভাবে কাটবে আর কয়েকটা মাস। পরের পিকনিকে নতুন অতিথি আসবে পপি কিচেন পরিবারে। সেই অপিক্ষায় গোটা পরিবার। পরের বড়দিন আরও স্পেশ্যাল হবে পপির পরিবারে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version