Nandini Ganguly: ‘একসময় প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল!’ ‘দিদি নম্বর ১’-এ এসে আর কী কী বললেন নন্দিনী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Nandini Ganguly: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ইদানিংকালে একটি নাম শোনা যাচ্ছে খুব। ইন্টারনেট খুললেই এখন চারিদিকে তাঁর ভিডিও আর ছবি দেখা যাচ্ছে। কলকাতার ‘স্মার্ট দিদি’ তিনি। বিভিন্ন ইউটিউব ভ্লগে বহুবার তাঁকে দেখেছেন আপনারা সবাই। কখনও গরম ভাত পরিবেশন করতে করতে ভিডিওয় ধরা দিয়েছেন তিনি। আবার কখনও কড়াই থেকে ভাজা তোলার সময় ভিডিওর সামনে এসেছেন ‘স্মার্ট দিদি’। এবার নিজের গল্প শোনাতে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর (Didi No.1) মঞ্চে হাজির হয়েছেন নন্দিনী (Nandini Ganguly)।

জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ এখানে এসেছেন তিনি। করোনা মহামারীর পর থেকে অন্যভাবে পথ চলা শুরু করেন। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় সকলকে খাবার পরিবেশন করে খাওয়ান নন্দিনী। এমনকি রান্নাটাও নিজেই করেন। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় সেই আয়োজন। বাবার সঙ্গে কোমর বেঁধে লেগে পরেন তিনি। কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনার পর হঠাৎ ‘হোটেল’ কেন?

‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে হাজির হয়ে অজানা কিছু কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাঁর ভালো নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষিতা, আধুনিক তরুণী। জিন্স আর টপেই তাঁকে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়। গলায় ঝোলে একটি ব্লুটুথ হেডফোন (Bluetooth headphone)। এমবিএ করেছেন, চাকরি করতেন বেঙ্গালুরুতে। করোনা মহামারীতে বাবার রাবারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান ভাড়া নেন বাবা চক্রধারী বাবু। কিন্তু সেই সময়টা খুব খারাপ গিয়েছে। রচনার সামনে তিনি বলেন, বাবার ব্যবসা যেই সময় ডুবে গিয়েছিল এবং গোটা পরিবারকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছিল, তখন সেই পরিস্থিতিটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। শরীরের একটা সাইড প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পরিবার তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। এরপর সে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু মা অসুস্থ হলে, তিনি ফিরে আসেন। মায়ের অসুস্থতার কথা জানতে পেরে অফিস থেকে দিন পনেরোর ছুটি নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন মমতা। এর পর বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ছেড়ে দেন চাকরি।

এখন বাবা সকালে বাজার করেন, আর মা কাটাকুটি করে দেন। এর পর হাত লাগান মেয়ে। আর তারপর অফিস পাড়ায় এসে হাসিমুখে লোকের পাতে তুলে দেন খাবার। মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খাবার পায় মানুষ। যদিও বিভিন্ন ধরণের থালি রয়েছে, ৭০, ৮০, ১০০ ২০০ সব দামেরই থালি রয়েছে। তবে তাঁর হোটেলে গেলে, কেউ না খেয়ে ফিরবেন না। বহু অসহায়কে ফ্রিতে খাবার খাওয়ান দিদি। ডিজিটাইজেশনের জামানায় এখন তাঁকে আর তাঁর বাবাকে সকলেই চিনে গিয়েছেন। কিন্তু এখন যেভাবে দোকান চলছে, আগে সেভাবে মোটেই চলতো না।‌ তাহলে হঠাৎ এত রমরমিয়ে ওঠার কারণ?

রচনার প্রশ্নে নন্দিনী জবাবে বলেছেন, এটি একটি মিরাক্কেল। একমাস আগে এক ভাই এসে আমাকে বলে, দিদি তোমার কাছে ডিম-ভাত খাব কিন্তু একটা ভিডিও করব। আর তার এক সপ্তাহ পরে দেখি আরও তিনজন আসে। তাঁরাও ভিডিও করতেই আসে এবং জানায় আমি নাকি ভাইরাল হয়ে গেছি। এর পরই রমরমিয়ে উঠেছে নন্দিনীর হোটেল। যদিও এদিন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন নি তিনি, কিন্তু বাস্তব জীবনে একজন চ্যাম্পিয়নের থেকে কম কিছু নন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version