লক্ষ্মীপুজো ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া ভাবতেই পারেন না মা! কোন স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় ? গতবার যা হল

।। প্রথম কলকাতা ।।

গতবছর লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন সবটা নিজের হাতে করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। বাড়ির ছোট মেয়ে আর নেই। লক্ষ্মী মেয়েটাই আজ তারাদের দেশে। চোখের জলে প্রতিটা দিন কাটাচ্ছেন বাবা-মা দিদি বুকে চাপা কষ্ট। মা লক্ষ্মী সবার ঘরে আসবেন আর ঐন্দ্রিলার বাড়িতে? এবছর লক্ষ্মীপুজো কীভাবে কাটাবে ঐন্দ্রিলার পরিবার?প্রথম কলকাতাকে জানালেন ঐন্দ্রিলার মা। ভালো নেই ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। মেয়ের স্মৃতি আঁকড়েই কাটছে দিন, সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতা। ছোট মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা তিলে তিলে শেষ করছে তাঁকে। পুজোর দিনগুলো কোনওরকমে কাটিয়ে দিলেও লক্ষ্মীপুজোর দিনটা এগিয়ে আসলেই যেন কষ্ট বাড়ছে।

নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ছোট মেয়ে। কখনও চাইলেও ঐন্দ্রিলাকে একবারটি দেখার সুযোগ পাবেন না বাবা। মাচোখের জল ফেলতে ফেলতেই কেটে গিয়েছে পুজোর কটা দিন কিন্তু লক্ষ্মীপুজো আসলেই যেন মনটা আরও হুহু করে উঠে। এই লক্ষ্মীপুজো নিয়েই তো মেয়েকে নিয়ে কত স্মৃতি। ভালো থাকা হবে না জেনেও বেঁচে আছেন শিখা শর্মা। লড়াই জারি আছে ক্যানসারের সঙ্গে। লক্ষ্মীপুজোর গোটা দিন কীভাবে কাটাবেন! দিনটা যেন গিলে খেতে আসছে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে।

গতবার লক্ষ্মীপুজোতে সবটা একা হাতে সামলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কত আনন্দ ছিল পুজো নিয়ে হইহই করে কেটেছিল দিনটা। এবার কিচ্ছু নেই, মা দিনরাত কেঁদেই চলেছেন। নিজের চোখের জলও বাঁধ মানছে না। লক্ষ্মাপুজোর সব সামগ্রী মায়ের চোখের আড়ালে রেখেছেন ঐন্দ্রিলার দিদি। যেখানে বোন নেই সেখানে লক্ষ্মীপুজো কীভাবে হবে! পুজোর কোনও আনন্দ যেন এবার আর সহনীয় নয় শর্মা-পরিবারের কাছে ঐন্দ্রিলার বড়দি ঐশ্বর্য কানের ডাক্তার তবে দিদি ডাক শোননেনি ১১ মাস। বোনের পর মাকে নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। ঐন্দ্রিলার মতোই তাঁর মায়েরও দ্বিতীয়বার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। কেমো থেরাপি চলছে তাঁরও। শারীরিক কষ্টের মাঝে মেয়ে হারানোর মানসিক যন্ত্রণা আরও বেশি কাহিল করে দিচ্ছে ঐন্দ্রিলার মাকে।

১৪ বছর আগে প্রথম বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার মা। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার ঠিক আগেই ক্যানসার ফিরে আসার রিপোর্ট হাতে পেয়েছিলেন তিনি। মা শিখা দেবী প্রথম বার বিয়ের আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তার পর তিনি ঠিকই ছিলেন। ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার পর থেকে আবারও ক্যানসারের লক্ষণ দেখা দেয় তাঁর।
ঐন্দ্রিলা নিজেও দুবার ক্যানসারকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষবার স্ট্রোক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পর আর কোমা থেকে ফেরেননি। শেষ অবধি পাশে ছিল তাঁর পরিবার। এ বার লড়াই শুরু তাঁর মায়ের।
ক্যানসার যেন গোটা পরিবারকে গিলে খাচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version