।। প্রথম কলকাতা ।।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে কানাডাকে হারাল মরক্কো। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসরে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত রইল আফ্রিকান দেশটি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল তারা। অন্যদিকে বেলজিয়ামকে বাড়ি পাঠিয়ে শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়া। বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে নক আউটে পা রাখল মদ্রিচরা। শেষ ষোলোয় পৌঁছাতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো বেলজিয়ামকে।
এদিন ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মরক্কোর। তবে শুরু থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপাল মরক্কো। কানাডা গোলরক্ষকের ভুলে চার মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন হাকিম জিয়াশ। এরপর একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে মরক্কো। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে এন-নেসিরি। তবে ৪০ মিনিটে মরক্কোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় কানাডা। স্যামুয়েল অ্যাডাকুবির ক্রস নায়েফ আগের্দের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে জড়ায়। চেষ্টা করেও রুখতে পারেননি মরক্কো গোলরক্ষক। চলতি আসরে এটাই প্রথম আত্মঘাতী গোল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শততম আত্মঘাতী গোল।
বিরতির পর রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে মরক্কো। সেই সুযোগে আক্রমণের পসরা সাজায় কানাডা। বেশ কয়েকটি সুযোগও গড়ে তোলে তারা। ৭১ মিনিটে হাচিনসনের হেড বারে লেগে ফিরে আসে। একের পর আক্রমণেও মরক্কোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কানাডা। ১৯৮৬ আসরের পর প্রথমবারের মতো প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল মরক্কো।
অন্যদিকে বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল গতবারের রানার্সরা। দুই দলের আক্রমণাত্মক ফুটবলে জমে ওঠে ম্যাচ। দুই দলই একাধিক সুযোগ গড়ে তুললেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি। বিরতির আগে গোলের জন্য বেলজিয়াম শট নেয় পাঁচটি, ক্রোয়েশিয়া ছয়টি। তবে দুই দলের একটিও শট লক্ষ্যে ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে মের্টেন্সের পরিবর্ত হিসেবে আনফিট রোমেলু লুকাকুকে নামলেও কাজের কাজ করতে পারেনি বেলজিয়াম। যার ফলে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল বেলজিয়াম।