।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিহাস। পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মরক্কো। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের অভিযান শেষ হলো পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনাল্ডোর। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা যে এমন ভাবে শেষ হবে তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি রোনাল্ডোর অতিবড় ভক্তও। হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন পর্তুগালের প্রাণভোমরা। পারলেন না ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে দিয়ে যেতে। মরক্কোর একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন এন-নেসিরি।
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য দেখলেও মরক্কোর ডেডলক ভাঙতে পারল না পর্তুগাল। উল্টে গোলরক্ষকের ভুল বোঝাবুঝিতে গোল খেয়ে বসল ফার্নান্দো সান্তোসের দল। এদিনও রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়ে দল নামান পর্তুগিজ কোচ। বল নিজেদের দখলে রাখলেও আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারল না পর্তুগাল। ৪২ মিনিটে এন-নেসিরির গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। আত্তিয়াত আল্লাহর ক্রস পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে পাঞ্চ করে করেন কোস্তা। হেডে জাল খুঁজে নেন নেসিরি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা বদলালো না পর্তুগালের। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা রামোস হয়ে রইলেন নিজের ছায়া হয়ে। বিরতির পর মাঠে নেমেও দলকে জেতাতে পারলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তুললেও মরক্কোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারল না পর্তুগাল। বেশ কয়েকবার পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াল মরক্কো। সুযোগ মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়ত। ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস লিখলো মরক্কো। স্বপ্নের পথচলায় আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখল তাঁরা।
মরক্কো তাদের স্বপ্নের পথচলায় গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে পৌঁছায় আফ্রিকার দেশটি। এরপর শেষ ষোলোর ম্যাচে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দেয় ৩-০ গোলে। আর এবার শেষ আটে পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল। বলে রাখা ভালো বিশ্বকাপে তাঁরা গোল হজম করেছে মাত্র একটি। তাও আবার কানাডার বিপক্ষে আত্মঘাতী। দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছে মরক্কোর স্বপ্নের পথচলা।