নেটদুনিয়া জুড়ে ময়ে ময়ে! এমন কী আছে ? শব্দ না বুঝেও যা হচ্ছে

।। প্রথম কলকাতা ।।

জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও, এখন ওল্ড ট্রেন্ড ইনস্টাগ্রাম মেতে এখন ময়ে ময়েতে চারদিকে যেন ময়ে ময়ের ঝড় চলছে। আসলে এটি কী? ভালো করে শুনলে একটা শব্দও বুঝতে পারবেন না। তাহলে ঠিক কোন কারণে এই গানটি এত ভাইরাল ? কোথা থেকে গানটি এল! পুরো গান নয় এই দুটো শব্দ নিয়ে বিশ্ব তোলপাড়। জানেন ময়ে ময়ের আসলে অর্থ ? কোন কারনে এই গান বানিয়েছিলেন তেয়া দোরা? ৮ মাসে প্রায় ৬ কোটি ভিউজ যে গান নিয়েই এত মজা- নাচ – রিল তার আসল মানে জানলে অবাক হবেন বইকি! ইয়োহানির মানিকে মাগে হিতেকে মনে করাচ্ছে ময়ে ময়ে। এই গান আবার প্রমাণ করলো গান সব ভাষার ঊর্ধ্বে। মানুষ ময়ে ময়ের মামে না বুঝলেও এই সুরের মায়াজালে যেন আটকা পড়েছেন। ভাইরাল এই গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ার গায়িকা ও সুরকার তেয়া দোরা। মূল গানটির নাম ড্যানাম।।

সার্বিয়ার ভাষায় ময়ে শব্দের অর্থ দুঃস্বপ্ন। এই গানের কথা ও সুরে বিষাদ ছড়ানো আছে। গানে না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। গানটির কথা মূলত ৩০ বছরের বেশি বয়সের কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে। যিনি অনেক সম্পর্কে জড়িয়েও মনের মতো কোনো সঙ্গী পাননি। একে একে সবাই তাকে ছেড়ে গেছে। দুঃস্বপ্নের ঘোরে নিজেকে ফেলনা মনে করেন তিনি। এর মাঝেও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চান। তিনি চান, কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক। তাঁকে কেউ বুঝুক, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিক। মজার বিষয় হল ময়ে ময়ে গানটির আসল উচ্চারণ নয় এটি ময়ে মোরে। একটা অজানা ভাষার গান কিভাবে বিখ্যাত হল?

ভাষার ব্যবধান ভুলে মূলত সুরই গানটিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে বলছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। আর এটি ছড়াতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে টিকটক। শ্রীলংকার গায়িকা ইয়োহানির মানিকে মাগে হিতে টিকটক থেকে ভাইরাল হয়েছিল। টিকটকে কোনো গানের অংশ নিয়ে বার বার ভিডিও বানানো হয়। তাই গানটি বার বার বাজতে থাকে সুরটা ভালো হলে শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। পরে খুঁজে পুরো গানটি শোনেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। ড্যানাম গানের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পিয়ানো শেখেন। ১৬ বছর বয়সে বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার বার্কলে কলেজ অব মিউজিকে পড়তে যান তেয়া দোরা পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে সুরকার ও গীতিকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। একটা গান যেন ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয়।

এর আগে মানিকে মাগে হিতে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর বলিউডে গান গাওয়ার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার গায়িকা ইয়োহানি। সেই ইচ্ছে পূরণও হয়। হিন্দিতে নিজেরই গাওয়া গান রেকর্ড করেছিলেন ইয়োহানি অন্য দিকে আফ্রিকান তারকা কিলি পলও নানা ভারতীয় গানে রিলস বানিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এবার কি সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হতে চলেছেন তেয়া দোরা? ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের এই গানটি মার্চ মাসের শেষের দিকে ইউটিউবে আসে। মাস ছয়েক পর অক্টোবরের শুরুর দিকে আচমকাই এই গানের মোয়ে মোয়ে অংশটি ভাইরাল হয়ে যায় টিকটকে। এরপর থেকেই হু হু করে ভিউ বাড়ছে ড্যানাম এর। ড্যানাম এর হাত ধরে সার্বিয়ার গায়িকা তেয়া দোরাও রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version