ময়ূরীর কুবুদ্ধিতে রাতে মেঘের সাথে নোংরামি রূপের! মেঘ কি পারবে নিজেকে বাঁচাতে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

গিনিকে বাঁচানোর শাস্তি দিতে উঠে পরে লেগেছে রূপ। ময়ূরীর কুবুদ্ধিতে রাতে মেঘের সাথে নোংরামি রূপের! কি ঘটতে চলেছে মেঘের সাথে? মেঘকি পারবে রূপের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে? এক ঝাঁক নতুন বাংলা সিরিয়ালের ভীড়ে প্রতি মুহূর্তে দর্শকদের মন জয় করে চলেছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ইচ্ছে পুতুল’। এই ধারাবাহিকের নায়িকা মেঘ এখন দর্শকদের একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছে।পর্দার মেঘ যেন রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী। এখনও পর্যন্ত বেঙ্গল টপার না হতে পারলেও, বেশ কয়েকবার স্লট লিডার হয়েছে এই সিরিয়াল। মেঘ, নীল, ময়ূরীর জীবনের টানাপোড়েন দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন দর্শকরা। বিশেষত এখন যেভাবে গাঙ্গুলী বাড়ির সদস্যরা মেঘের কদর করছে তা বেশ ভালোই লাগছে প্রত্যেকের।

ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, গিনিকে রূপের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনে নীলের বাড়ির সবার পছন্দের পাত্রী হয়ে উঠেছে মেঘ। যদিও রূপ বেজায় খেপে তার ওপর। কারণ মেঘের জন্যই তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে।
পর্দায় মেঘের এই প্রতিবাদী রূপ দেখে সকলেই বলছেন প্রত্যেক মেয়েরই মেঘের মতো সাহসী হওয়া দরকার। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়ায় আইনের ফাঁক গলে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে রূপঙ্কর সান্যাল । আর জেল থেকে বেরোনোর পরেই যেন আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠেছে রূপ।

জামিন পাওয়ার পর থেকে মেঘের ক্ষতি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সে। নিজের কার্যসিদ্ধি করতে আবারো হাত মিলিয়েছে ময়ূরীর সঙ্গে।মেঘের চরম ক্ষতি করতে উদ্যত হয়েছে রূপ। আগের পড়বেই দেখা গিয়েছে , মেঘ এবং অনিন্দ্য একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা, ফুচকা খাওয়া- সব মিলিয়ে বেশ মজায় কাটছিল বাবা-মেয়ের সময়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘ বুঝতে পারে রূপ তার পিছু নিয়েছে। অনিন্দ্যকে একথা বললে চিন্তা করবে ভেবে সে চুপ করে থাকে।

অন্যদিকে নীলের বাড়িতেও উত্‍সবের আবহ। এই প্রথমবার গাঙ্গুলী পরিবারের সদস্যরা পাড়ার প্যান্ডেলে উপস্থিত হয়। পাশাপাশি বাড়ির ছেলেমেয়েরা মিলে ঠাকুর দেখতে যাবে বলে ঠিক করে। এত বছর এই স্বাভাবিক বিষয়গুলো না ঘটলেও, এবার তা ঘটায় বেশ অবাক হয়ে যায় নীলের বাবা।

আর এদিকে ময়ূরী আড়াল থেকে মেঘের সব কিছু লক্ষ্য করে আর সেই আপডেট দেয় রূপ কে। মেঘ বাড়ি ফেরার পর ফ্রেশ হয়ে নিজের রুমে শুতে গেলেই হাজির হয় রূপ। দেখা যাবে, মুখে মুখোশ পরে মেঘের ঘরে প্রবেশ করেছে রূপ। তা দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় মেঘ। একেবারে জানলার কোণে সিঁটিয়ে যায় সে।মেঘ ভয় পেয়েছে দেখে আস্তে আস্তে তার দিকে এগোতে থাকে রূপ। মেঘের সাথে নোংরামি করার চেষ্টা করতেই মেঘ নিজেকে বাঁচাতে ‘বাপি বাপি’ করে চিৎকার করে। রাতের অন্ধকারে কোন অঘটনের শিকার হতে চলেছে মেঘ? মেঘ কি পারবে রূপের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে। দর্শকদের মনে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরছে! আগামী পর্ব গুলোতেই তার উত্তর পাওয়া যাবে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version