Aparajita Adhya: বিয়ে করেছিলেন বাড়ির অমতে, অপরাজিতা আঢ্যের প্রেম কাহানি পুরো সিনেমা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Aparajita Adhya: বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সকলের প্রিয়। মিষ্টি স্বভাবে, হাসিখুশিতে নিমেষে মন জয় করেন সবার। তিনি অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কেমন? যদি বলা হয়, তাঁর পারিবারিক জীবন সিনেমার মতোই রোমাঞ্চময়? জানেন শুটিংয়ের সেটেই প্রেমে পড়েছিলেন অপরাজিতা তারপর? কিভাবে বিয়ে হয়েছিল তাঁর? শুনলে অবাক হবেন যে কেউ।

গত কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা বিনোদনের সঙ্গে সমার্থক অপরাজিতা আঢ্য। সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত বাঙালি দর্শকের একটা বড়ো অংশ টিভির সামনে আটকে থেকেছেন অনেকটাই তাঁর অভিনয়ের আকর্ষণে। ছোট পরদার গণ্ডি টপকে এখন সিনেমার পরদাতেও সমান আকর্ষণীয় অপরাজিতা। এ মুহূর্তে বাংলা ছবির গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ছোট পরদা থেকে শুরু করে বড় পরদা, বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অতি পরিচিত মুখ অপরাজিতা অঢ্য। প্রচুর ভালোবাসা কুড়িয়েছেন দর্শকদের। শুধু তাই নয়, সহ-কর্মীদের কাছেও আপাদি যেন তাঁদের প্রাণের মানুষ।

সবসময় হাসিখুশি মেজাজেই দেখা মেলে তাঁর। ‘তুমি আর আমি’ সিনেমা দিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর ‘শুভ মহরত’, ‘হামি’, ‘রসগোল্লা’, ‘বেলাশেষে’, প্রাক্তন ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’, মতো ছবিতে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে দাপিয়ে বেরিয়েছেন ছোটো পরদাতেও। কাজ করেছেন ‘পুন্যি পুকুর’, ‘গানের ওপারে’, ‘কনকাঞ্জলি’, ‘মা’, ‘অদ্বিতীয়া’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘জলনুপুর’-এ।

যদিও অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন সিনেমার মতো রোমাঞ্চকর। অল্প বয়সেই সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার অতনু হাজরার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ছবির সেটে ১৯ বছর বয়সী অপরাজিতাকে প্রথমবার দেখেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন স্বামী অতনু। অপরাজিতার বাড়ি থেকে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি। তবে তিনি পেয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির পুরো সাপোর্ট। তাঁদের উপস্হিতিতেই বাপের বাড়ির অমতে সেরেছিলেন বিয়ে। মধুচন্দ্রিমার জন্য গিয়েছিলেন গ্যাংটক। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৩ বছর। শ্বশুর বাড়ির একান্নবর্তী পরিবারে দিব্যি আছেন অপরাজিতা। পরিবারে রয়েছে ২১ জন সদস্য। ননদ পাপিয়ার সঙ্গে অপা-র বন্ডিং প্রিয় বন্ধুর মতো। কেরিয়ারে সব সময় পাশে থেকেছে এই পরিবারের সবাই। সবার সঙ্গে হেসেখেলে সময় কাটিয়ে দিতেই ভালোবাসেন তিনি। অপরাজিতার শাশুড়ি মাও বিয়ের পর প্রকৃত অর্থেই তাঁর মা হয়ে উঠেছিলেন। পুত্রবধূকে তিনি কার্যত নিজের মেয়ের মতোই আগলে রেখে এসেছেন তিনি।বিয়ের এত বছর পার করে এসেও একটুও কমেনি সম্পর্কের উষ্ণতা। তাঁর প্রমাণ অপরাজিতার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামী অতনুর সঙ্গে শেয়ার করা ছবি। নিসন্তান দম্পতি সবসময়ই মেতে থাকেন পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে। এর বাইরে ‘মি টাইম’ কাটাতে দেশ-বিদেশের ভ্যাকেশন তো আছেই। কাজের ফাঁকে সময় মিললেই বেরিয়ে পড়েন এখানে-সেখানে।

নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, শপিং করা, বই পড়া, গান শোনা তাঁর বড় পছন্দের। সঙ্গে বাড়ির সকলের জন্য নিজের হাতে রান্না করতেও খুব ভালোবাসেন। এভাবেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চান অপরাজিতা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version