R Madhavan’s Son Vedaant: সাঁতারে ৭টি পদক জিতলেন মাধবন-পুত্র বেদান্ত, গর্বিত বাবা

।। প্রথম কলকাতা ।।

R Madhavan’s Son Vedaant: বাবা জনপ্রিয় অভিনেতা, কিন্তু ছেলের পছন্দ অন্য। ইচ্ছে থাকলে সেও অভিনয়ে আসতে পারতেন। সাধারণত স্টারদের ছেলেমেয়েরা মা-বাবার পথ অবলম্বন করে অভিনয়কেই নিজেদের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু সব স্টার কিডদের মত সে নয়। লাইমলাইটের দুনিয়া থেকে সরে গিয়ে, সাঁতারু হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছেন অভিনেতা-পুত্র। এমনকি শুধু নাম লেখান নি, জিতেছেন পদকও। কে সে? একটা নয়, দুটো নয়, সাতটা পদক জিতেছে মাধবন-পুত্র (R Madhavan’s Son)। ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২৩’-এ (Khelo India Games) পাঁচটি স্বর্ণ ও দুটি রৌপ পদক জিতেছেন বেদান্ত মাধবন। ছেলের সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। কী লিখেছেন আর মাধবন?

উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি লেখেন, ‘মহারাষ্ট্র টিমকে শুভেচ্ছা দু’টি ট্রফির জন্য। একটি ছেলেদের দলের সাঁতারে অসাধারণ পারফরমেন্স এবং অন্যটি খেলো গেমসে মহারাষ্ট্রের টিম ‘ওভারঅল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি’ পেয়েছে’। পরবর্তীতে আরেকটি ট্যুইটে ছেলের পারফরমেন্সে বাবাকে গর্ব করতে দেখা গিয়েছে। এর আগে জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন বেদান্ত (Vedaant Madhavan)। তাছাড়া কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ‘ড্যানিশ ওপেন সুইমিং ২০২০’-তে রুপো জিতেছেন তিনি। ২০২১-এ বেঙ্গালুরুতে হওয়া ‘৪৭তম জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপস’-এ চারটি রুপো গিয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। বেদান্ত বলেছিলেন, তিনি নিজের আলাদা নাম করতে চান। তিনি শুধু আর মাধবনের ছেলে হয়ে থাকতে চাননি। আর তাই তাঁর সাঁতারকে বেছে নেওয়া।

এমনকি ২০২১-এ ছেলের খুশির জন্যই একপ্রকার দুবাইতে গিয়েছেন মাধবন। বলিউড হাঙ্গামাকে জানিয়েছিলেন, ‘মুম্বইয়ের বড় সুইমিং পুলগুলি করোনার কারণে ও নানা নিয়মের জন্য বন্ধ রয়েছে। দুবাইতে বড় পুলগুলি খোলা রয়েছে। এখানে অলিম্পিকসের জন্য অনুশীলন করছে বেদান্ত, আর আমরা ওঁর পাশে রয়েছি’। এদিন মাধবনের ট্যুইটে ভালোবাসা দিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। কেউ লেখেন, ‘কে বলেছে স্টার কিড মানেই তাঁরা অহঙ্কারী। বাচ্চাকে এভাবেই বড় করা উচিত’। এক কথায় অভিনেতা-পুত্রের সাঁতারে কেরিয়ার গড়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন অনুরাগীরা ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version