পরপর তিন ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত ইংল্যান্ডের! হলটা কী গতবারের বিশ্বজয়ীদের?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক ব্রিটিশদের। ২০১৯ সালের ২১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর। সময়টা মাত্র চার বছরের ব্যবধান। গতবারর ভেন্যু ছিল লিডস। আর এবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। তবে ফলাফলে কোনও বদল ঘটল না। ইংল্যান্ডকে গতবারের মতো এবারও উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। ফলে গত ২০ বছর ধরে সাহেবদের উপর দাপট বজায় রাখল লঙ্কানরা। চলতি বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের চারটিতেই পরাজিত হল ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে এমনিতেই বেকায়দায় ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পর সেমিফাইনালে ওঠাই এখন কঠিন হয়ে গেল তাদের।

বর্তমানে তাদের স্থান পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে। এদিন বড় ব্যবধানে হারের পর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার দলের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে চূড়ান্ত পতন বলে অভিহিত করেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কেন হল গত বারের বিশ্বজয়ীদের? ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের এমন পরিস্থিতি ক্রিকেট সমর্থকদের হতাশ করেছে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইক অ্যাথারটন বলেছেন ইংল্যান্ড দল নিজেদের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। ইংল্যান্ডের এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উইকেট বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ব্যাটারদের যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনই সমস্যা হচ্ছে বোলারদের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মঈন আলিকে না খেললেও, আফগানিস্তানের স্পিনারাই ধ্বংস করে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। স্পিন সহায়ক পিচে সেদিন চারজন পেসার নিয়ে খেলেছিল ইংল্যান্ড।

পাশাপাশি ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি মানসিকতা তাদের এই ব্যর্থতার মূল কারণ। সঙ্গে রয়েছে টি-টেনের আবির্ভাব। পেসারদের মধ্যেও অভিজ্ঞতা এবং বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে। দুই স্পিনার আদিল রশিদ এবং মইন আলিও ব্যর্থ হয়েছেন উইকেট তুলতে। এছাড়াও চোটগ্রস্ত বেন স্টোকসকে বয়ে বেড়িয়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন বেন স্টোকস। তার আগে এক বছর ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেননি তিনি। চোটের কারণে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতেই পারেননি স্টোকস।এইরকম একজন আনফিট অলরাউন্ডারকে দলে নিয়ে পস্তাতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। বারবার প্রথম একাদশ বদলেও নষ্ট হয়েছে দলের ভারসাম্য। প্রথম ম্যাচে কিউইদের বিরুদ্ধে হারের পর প্রথম একাদশে বদল আনে ইংল্যান্ড। সেই দলই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পায়। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারতেই দলে তিনটি বদল করে ইংল্যান্ড। তাতেও জয় আসেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় অধরা থাকে ব্রিটিশদের। তাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আবার দলে তিনটি বদল করেন বাটলার। কিন্তু তাতেও সাফল্য আসেনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের এই হারই যাবতীয় সমীকরণ বদলে দিয়েছে। যদিও ইংল্যান্ডের হাতে এখনও চারটে ম্যাচ বাকি রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে কোনও মিরাকেলই ব্রিটিশ ক্রিকেট দলকে এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version