Dholkal Ganesh Temple: পাহাড়ের মাথায় ১১০০ বছর ধরে সিদ্ধিদাতা গণেশের বাস, কীভাবে পুজো দেবেন জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Dholkal Ganesh Temple: পাহাড়ের চুড়ায় সিদ্ধিদাতা গণেশ (Ganesh) সেই রূপ দেখলে আপনি মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য। ১১০০ বছর ধরে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে রক্ষা করছেন একাই। পাহাড়ের মাথায় এত উঁচুতে কীভাবে পুজো দেওয়া হয়? ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে হলে
একবারটি পুজো দিয়ে আসুন এই মন্দিরে (Temple)।পাহাড়ের উপর এই মন্দিরে পৌঁছনো অত সহজ নয়।

ঘন জঙ্গল, পাহাড়ের পাথর পেরিয়ে ৫ কিমি. পথ ট্রেক করে পৌঁছতে হবে এই গণেশ মন্দিরে। যেখানে সেখানে বড় বড় পাথর সাবধানে পা ফেলতে হবে নাহলে পিছলে গেলেই খাদে দুর্গম পথ পেরিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশকে দেখতে পাবেন। চাইলে বিগ্রহের পায়ে মাথাও ঠেকাতে পারেন।

কিন্তু মন্দিরটি কোথায় ? ছত্তিসগড়ের (Chattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলার জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ের উপরে অধিষ্ঠিত রয়েছেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। মহামায়ার এই পুত্র দান্তেওয়াড়ার ঢোলকার পাহাড়ের চুড়ায় বসে রয়েছেন ১১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কথিত রয়েছে ওই মূর্তি নির্মাণ এবং পাহাড়ের উপরে তা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল নাগবংশী রাজবংশের রাজত্বকালে। এত বছর ধরে মাটি থেকে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় নিজের মতো অধিষ্ঠান করে রয়েছেন গণেশ (Ganesh)। এই বিগ্রহটি যে সে বিগ্রহ নয়। শোনা যায় পাহাড়ে ভগবান গণেশ এবং পরশুরামের মধ্যে যুদ্ধ হয়।

যুদ্ধের মাঝে গণেশের দাঁত ভেঙে এখানে পড়ে যায়। সেই পৌরানিক যুদ্ধের স্মৃতিতে শ্রী গণেশের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন নাগবংশী রাজারা। মূর্তির উচ্চতা আড়াই ফুট।সিদ্ধিদাতা গণেশের মূর্তিটাও এই পৌরাণিক গল্প বলবে আপনাকে।দেখুন ভালো করে। একহাতে নিজের ভাঙা দাঁত নিয়ে রয়েছেন শ্রী গণেশ। আর অন্য হাতে রয়েছে অস্ত্র।

স্থানীয় উপজাতিরা এখনও এই বিগ্রহকে নিজেদের ত্রাতা বলে মনে করেন। পাহাড়ের (Mountain) চড়াই উতরাই পেরিয়ে নিয়মিত পুজো করা হয়। প্রাচীন কালে ঢোলকা এলাকায় মহিলারাই পুজো করতেন পুরোহিত হিসেবে স্থানীয় উপজাতিরা নিজেদের সেই মহিলা পুরোহিতদের বংশধর বলে মনে করে থাকেন। এখন একজন পুরুষ পুরোহিতই পুজো করেন। এই মন্দিরে দর্শন সারলে আপনার জীবন সার্থক। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন। সঙ্গে ঘরে থাকবে সুখ-শান্তি। আর আপনি যদি সশরীরে প্রণাম জানাতে চান তাই এখটু কষ্ট করে এই মন্দির থখেকে ঘুরে আসুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version