।। প্রথম কলকাতা ।।
Aindrila Sharma: গত ১ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রার্থনা করছেন সবাই। আর তার মাঝেই গতকাল রাতে অভিনেত্রীর মৃত্যুর ভুয়ো খবরে তোলপাড় হয়ে যায় নেটপাড়া। স্যান্ডি সাহার পোস্ট দেখে একে একে সবাই অভিনেত্রীর চলে যাওয়া একপ্রকার মেনে নেন। আর তারপরেই ফেসবুক জুড়ে অভিনেত্রীকে নিয়ে পোস্ট দেখা যায়। অনেকে খবরটি সত্যি কিনা, তা জিজ্ঞেস করেন? কিছু জন ভুয়ো বলে মন্তব্য করেন। আর এসব দেখে নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে রাত ২টো নাগাদ ফেসবুকে সব্যসাচী লেখেন, ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে…এসব লেখার অনেক সময় পাবে’।
অভিনেতার পোস্ট দেখে কিছুটা স্বস্তি পায় সবাই। ফের আবারও তিনি বুঝিয়েছেন, এখনও প্রচন্ডভাবে আছেন ঐন্দ্রিলা। ফেসবুকে তাঁর পোস্টে মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। সেখানে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন স্যান্ডি সাহা। অপরদিকে জয়জিৎ ব্যানার্জী লেখেন, ‘এসব লিখতেই যেন কাউকে না হয় ভাই। আমরা সবাই চাইছি ও আবার তোঁর সাথে হাসিমুখে ফিরে আসুক আমাদের কাছে’। তবে স্যান্ডি নিজের ভুল স্বীকার করলেও, সকলে রাগে ফেটে পড়েছেন তাঁর উপর।
সৌরভ দাস-
অন্যদিকে সকলের পায়ে পড়েছেন সৌরভ। অভিনেতা সৌরভ দাস ফেসবুকে লেখেন, ‘বেঁচে আছে এখনো। মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে পরছি’। অভিনেতার পোস্টে কেউ লিখেছেন, ‘মেরে ফেলেই হয়তো আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা করছে সবাই।
খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ঐন্দ্রিলা, এটাই প্রার্থনা করি’। কারোর কথায়, ‘এতো মানুষের প্রার্থনা বিফলে যেতে পারে না। ফিরতে তো হবেই’।
জয়জিৎ ব্যানার্জী-
পাশাপাশি জয়জিৎও ফেসবুকে সব্যসাচীর লেখা শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুধু প্রার্থনা আর কিছু না। ও ফিরে আসুক তোর সাথে আমাদের কাছে’।
তীর্থঙ্কর দাস-
মাঝরাতে সকলের উদ্বেগ নজরে আসতেই সাংবাদিক তীর্থঙ্কর দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করবেন না। আপাতত উনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রয়েছেন এবং জীবিত রয়েছেন। আমরা আছি সঠিক খবর দেওয়ার জন্য। এত তাড়াহুড়ো কিসের। পারলে প্রার্থনা করুন যেন ঐন্দ্রিলা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। ধন্যবাদ’।
ইমন চক্রবর্তী-
গায়িকা ইমন চক্রবর্তী লেখেন, ‘আজ সারারাত ঘুম এলোনা। এলোনা মানে এলোইনা। ঐন্দ্রিলাকে আমি কখনো দেখিনি। লকডাউনের সময় থেকে ওঁর সাথে ইনস্টাগ্রামে কথা হত। শেষ কথা ২৬ অক্টোবর হল। তারপর এই ঘটনা। ওঁতো ওঁর লড়াই লড়ে যাচ্ছে। তবে ওঁর বাড়ির লোক, ওঁর সঙ্গী সব্যসাচী এবং আরও অনেকের লড়াইটাও খুব খুব কঠিন। থাকবে কি থাকবেনা এই প্রশ্ন যখন সামনে আসে, তখন জীবন সবচেয়ে কঠিন হয়। কত মানুষ আজ ওঁর জন্য জেগে আছেন, প্রার্থনা করছেন। কে বলে মানুষ মানুষের জন্য নয়? এতগুলো মানুষও ওঁদের লড়াইয়ের সঙ্গী হল। আমিও হলাম’। সেইসঙ্গে গায়িকার প্রশ্ন, “সময় খুব কম। যেই মানুষগুলো সত্যি ভালোবাসে, আমরা আজীবন তাঁদের চিনতে পারিনা। ঠকাই, কষ্ট দিই। সেখানেই আমরা হেরে যাই। অন্তত ঐন্দ্রিলা কাছের মানুষ চিনেছে। আর একদম ঠিক চিনেছে। এখানে কি ও জিতে যায়নি বলুন?”
বুধবার মাঝরাতে কিছুজনের পোস্ট ঘুম কেড়েছিল সকলের। এমনকি টলি পাড়ার অনেকেই সেই ভুয়ো খবর শেয়ার করতে শুরু করলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেকের কাছেই বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল। যার জেরে একাংশ শোকপ্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী? হাওড়ার হাসপাতাল সূত্রে, বর্তমানে ভেন্টিলেটর এবং আয়নোট্রপিক সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এখনও নিজের যুদ্ধ জারি রেখেছেন তিনি। তৃতীয়বার মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। বন্ধু পারমিতা সেনগুপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। এখনও ভেন্টিলেশনে আছে ও’। পাশাপাশি অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও সকলের ভুল ভাঙিয়েছেন। লেখেন, ‘সত্যি যাচাই করতে শিখুন। খালি এর ওর স্ট্যাটাস দেখে স্ট্যাটাস দিলেই হল?’ একইসঙ্গে অভিনেত্রী আয়েশা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ঠাকুর এই ভালোবাসাকে হারতে দিওনা। এই লড়াইয়ে ওঁকে/ওঁদের জিতে আসতে একটু সাহায্য কর’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম