Self-care: বাড়ি অফিস মিলিয়ে সময়ের বড্ড অভাব! এই উপায়ে খুব সহজেই নিন নিজের যত্ন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Self-care: একদিকে সংসারের রাশ, অপরদিকে এই গাদা গাদা অফিসের কাজ। নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ই হয়ে ওঠে না। এই সমস্যায় কমবেশি বহু মানুষ ভুগছেন। এছাড়াও যেসব মহিলারা শুধুমাত্র হাউস ওয়াইফ তাদেরও কম চাপ থাকে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংসারের খুঁটিনাটি কাজ একের পর এক লেগেই রয়েছে। এসবের মাঝে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বার করা হয়ে ওঠেনা। এই রোজকার ব্যস্ততার মাঝে দিনের পর দিন ক্লান্তির বোঝা বাড়তে থাকে। আর এখান থেকেই সূত্রপাত হয় মানসিক রোগের। খুব সহজেই তখন খিটখিটে মেজাজ, বিরক্ত ভাব, মনের অসুখ প্রভৃতি সমস্যাগুলো জাঁকিয়ে বসে।

শত কাজ থাকলেও এর মাঝেও নিজেকে ভালো রাখা সম্ভব। আসলে নিজেকে ভালো রাখতে গেলে প্রথমে নিজেকে ভালবাসতে জানতে হবে। তখন দেখবেন নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য সময় ঠিক বেরিয়ে গিয়েছে। নিজেকে যত্ন নিতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন নেই। আপনি কাজের ফাঁকে মাত্র কয়েক মিনিটে খুব সহজেই নিজের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন। এই ছোট ছোট কাজেই মন ভালো হবে, অথচ পরিশ্রমও কম।

•ব্যস্ততার ফাঁকেও প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হালকা শরীর চর্চা করুন। আরো ভালো হয় যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষণ হেঁটে আসেন। ফেরার সময় সবার সাথে গল্প করে এক কাপ চা খেয়ে আসলে মন্দ হবে না।

•সপ্তাহে না হোক, ১০-১২ দিন অন্তর সমস্ত কাজ থেকে একদিনের জন্য হলেও বিরতি নিন। আপনি হয়ত ভাবছেন, আপনাকে ছাড়া আপনার পরিবারের সমস্ত সদস্যরা জলে পড়বেন। কিন্তু এমনটা নাও হতে পারে। কাজের চাপ থাকলে তখন সবাই নিজের তাগিদে কাজ করে নেয়। যদি একটি দিনের সম্পূর্ণ অংশ নিজেকে দিতে না পারেন, তাহলে দিনের এক ঘণ্টা আপনার জন্য নির্দিষ্ট করে রাখুন।

•রোজ কাজের মাঝে নিজের পছন্দকে মাঝে মাঝে অগ্রাধিকার দিন। পরিবারের পাশাপাশি নিজের ভালোবাসার যে কোনো একটি পদ বানান। রোজকার বাজারে সময় নিজের পছন্দের একটু ফল কিংবা সবজি কিনতে পারেন।

•সাজানো-গোছানো একটি শোয়ার ঘর থাকলে মন ভালো থাকে। তাই শত ব্যস্ততার মাঝে নিজের শোয়ার ঘর সবসময় গুছিয়ে রাখবেন। কারণ বিশ্রামের সময় যদি চারিদিকের পরিবেশ পরিপাটি থাকে তাহলে সেই সময়টা বেশ আরামদায়ক মনে হয়।

• অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও আত্মীয় পরিজনদের ফোন করে খোঁজখবর নিন। সারাদিনের ব্যস্ততা এবং কাজের চাপ সম্পর্কিত নানান বিষয়ে আপনি শেয়ার করতে পারেন। এর ফলে মানসিক বোঝা অনেকটা কমে যাবে।

Exit mobile version