T20 World Cup 2024: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে রাজার মত অবসর নিলেন কিং কোহলি, হিটম্যান রোহিত ও একই পথে

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

T20 World Cup 2024: ১৪ বছরের ক্ষরা কাটিয়ে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি। বিরাট কোহলি তুলে নিলেন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব। ম্যান অফ দ্য সিরিজ জসপ্রীত বুমরাহ। অবিশ্বাস্য, জাস্ট অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ।

 

আজ কোটি কোটি ভারতবাসীর নজর ছিল বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের উপর। দূর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ম্যাচ বের করে নিল ভারত। মাঠে নেমেই গড়ে ফেলল নয়া রেকর্ড। প্রথম ওভারেই তিন তিনটে বাউন্ডারি হাঁকালেন রান মেশিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ওভারেই এত রান কিন্তু এটাই প্রথম। যদিও কটা দিন আগেই এই বিরাটকে নিয়েই চলছিল তুমুল সমালোচনা। তার নাকি কোনও ফর্মই নেই। ফাইনাল থেকে তো তাকে বাদ অবধি দেওয়ার দাবি তুলেছিল ক্রিকেট ক্রিটিকরা। নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে ৫৯ বলে ৭৬ রানের এক দূর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন রান মেশিন। সেই সাথে ভারত প্রমাণ করে দিল যে, ভারতই সেরা।

 

যদিও পাওয়ার প্লে-তে ভারতের জন্য একেবারেই ভালো ছিলনা। দ্বিতীয় ওভার থেকেই ভাঙন শুরু হয়ে ভারতীয় ইনিংসে। প্রথমেই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা আর তারপরই রিষভ পান্থের উইকেট। সূর্যকুমারও গেলেন তারপরই। পরপর তিনটে দাপুটে ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরতেই ভারতীয়রা তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিল। রিষভের উইকেট নেওয়ার পর ক্লাসেনের সে কী উল্লাস। পাওয়ার প্লে-তে তো রানই উঠছিলনা। তবুও, তবুও শেষ হাসি তো হাসল ভারতই। শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রানের টার্গেট বেঁধে দিয়ছিল ভারত। তবে প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা তো ১৭০-ও ছুঁতে পারলোনা। ১৬৯ এই থমকে গেল এইডন মার্করামদের স্বপ্ন। চোকার্স তকমাটা আর ঘুচলনা সাউথ আফ্রিটার।

 

আসলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ এর লজ্জাজনক হারের পর এই জয় কিন্তু সত্যিই দরকার ছিল। দেশের ১৫০ কোটি মানুষ তাকিয়ে ছিল কেবলমাত্র এই দিনটার জন্য।

 

তবে কেবল দেশবাসীর জন্যই তো নয়। এই জয় প্রয়োজন ছিল কোচ দ্রাবিড়ের জন্য এবং গোটা টিম ইন্ডিয়ার জন্য। বিশেষ করে রোহিত শর্মা। তার মত একটা দূর্ধর্ষ ব্যাটার, একজন অনবদ্য ক্যাপ্টেনের কেরিয়ারে একটাও কাপ থাকবেনা তাই কখনও হয়? তাই এই কাপটা যদি সবচেয়ে বেশি কারো জন্য দরকার ছিল তাহলে তিনি হলেন রোহিত শর্মা।

 

যদিও যদিও অক্ষর প্যাটেল আউট হওয়ার পর স্টেডিয়াম একটু থমকেই যায়। ঝকঝকে ইনিংস খেলেই রান আউট হন অক্ষর। তবে তারপরেই শিভম দুবে যেভাবে হাল ধরলেন সেটাও অনবদ্য। ১৫ বলে ২৭ রান করে তিনিও কিন্তু দারুন ছাপ রেখে গেলেন। তবে জসপ্রীত বুমরাহের যত তারিফ করা হয় ততই বোধহয় কম। মাঝে সবাই যখন আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ঠিক তখনই মসিহা হয়ে এলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারেই হেন্ডরিকের উইকেটটি নিয়ে সাউথ আফ্রিকার মনোবলটাই তো ভেঙে দিয়েছিলেন। তারপরেই অর্শদীপের হাতে উইকেট দিয়ে বসলেন ক্যাপ্টেন‌ মার্করাম। তবে ভারত ম্যাচ তো তখনই জিতে গিয়েছিল যখন ক্লাসেন আউট হন।

 

তবে সবে মিলিয়ে তারিফ করতেই হয় প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকারও। প্রতিটা পদে মরিয়া চেষ্টা করে গেছে এইডেন মার্করমের দল। কড়া টক্কর দিয়েছে ভারতকে। বোলিং থেকে শুরু করে ফিল্ডিং, ব্যাটিং, সব জায়গাতেই দূর্দান্ত টক্কর দিয়ে গেছে দলটি।

 

তাদের জন্যেও এই ম্যাচটা তো কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ ছিলনা। এখনও পর্যন্ত একটাও বিশ্বকাপ ট্রফি আসেনি সাউথ আফ্রিকার দখলে। স্বাভাবিকভাবেই শেষ অবধি মরিয়া চেষ্টা করে গেছে দলটি। কিন্তু ওই যে, বাপ তো বাপ হোতা হ্যায় বস। শেষমেষ রোহিত ব্রিগেডের সামনে ধরাশায়ী হয়েই ফিরতে হল আইডেন আক্রমদের। কেনসিংটন ওভালে অধরাই রয়ে গেল মার্করামদের স্বপ্ন। সেই সাথে হাসি ফুটলো সমস্ত ভারতবাসীর মুখে। আর রোহিত ব্রিগেড প্রমাণ করল, ক্রিকেট দুনিয়ায় আমরাই সেরা। হ্যাঁ, ২০২৩ এর ট্রফি হয়ত আমরা জিতিনি কিন্তু গোটা সিরিজে সেরা টক্করটা আমরাই দিয়ে গেছি। আর এবারও গোটা সিরিজে সেরার সেরা পারফর্মেন্স আমাদেরই।

 

https://fb.watch/t0FTn3VPOn/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version