আইসিসির রোষে চির নির্বাসনে জার্ভো 69! কে এই জার্ভো 69?

।। প্রথম কলকাতা ।।

জার্ভো 69-কে চিরতরে ব্যান করল আইসিসি। কড়া নিরাপত্তায় চলছে ওডিআই বিশ্বকাপ। সেই নিরাপত্তার বেড়া টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন জার্ভো 69। এদিন চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে মেন ইন ব্লু। প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টস হেরে প্রথমে বোলিং করে ভারত। ম্যাচের একটিও বল গড়ায়নি, ঠিক সেই সময় মাঠে ঢুকে পড়েন এই ক্রিকেট ভক্ত। মাঠে পৌঁছে যান সটান বিরাট কোহলির কাছে। গায়ে ভারতের জার্সি। আর জার্সি নম্বর ৬৯। নাম লেখা জার্ভো। এরকম নামে তো ভারতীয় দলে কেউ নেই। তাহলে ইনি কোথা থেকে এলেন?

ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত জার্ভো। এই প্রথম বার তিনি কোনও ম্যাচের মাঝে মাঠে ঢুকে পড়লেন তেমনটা নয়। অতীতেও একাধিকবার নিরাপত্তাকর্মীদের দৃষ্টি এড়িয়ে মাঠে ঢুকেছেন জার্ভো। তাঁর আসল নাম ড্যানিয়েল জার্ভিস। তিনি এক ইংরেজ ক্রিকেট অনুরাগী এবং ভারতীয় দলের সমর্থক। পাশাপাশি তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা ও ইউটিউবার। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই মাঠে প্রবেশ করেন মজা করার জন্য। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে গেলে দেখা যাবে, এরকম বহু মজার ভিডিও রয়েছে।

২০২১ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময়ও তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। সেই সময় ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ চলছিল। তখন লর্ডস টেস্টের পর লিডস টেস্টেও তিনি ভারতের জার্সি পরে মাঠে নেমে পড়েন। প্যাড, গ্লাভস, হেলমেট পরে জার্ভো ভারতের জার্সিতে আগেও মাঠে নেমেছেন। যার ফলে ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব তাঁকে আজীবন নির্বাসিতও করে। গ্রেফতার করা হয় জার্ভোকে। তবুও তাঁকে শোধরানো যায়নি।

এদিন মাঠে বিরাট কোহলির কাছে পৌঁছাতেই সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেন। এখানেই নাটকের শেষ নয়, কিছুক্ষণ পরে আবারও দেখা যায় ম্যাচের মাঝে ফের মাঠে ঢুকে পড়েছেন জার্ভো। সে বার তিনি পৌঁছে যান লোকেশ রাহুলের কাছে। রাহুল সেই সময় জার্ভোকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। ফের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেন। কিন্তু একই ম্যাচে ২ বার জার্ভো মাঠে ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ প্র্যাঙ্কস্টার তথা ইউটিউবার ড্যানিয়েল জার্ভিসকে চির নির্বাসিত করে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version