দিনের পর দিন বাড়ির বউকে অপমান! আর নেওয়া যাচ্ছে না, ‘ইচ্ছে পুতুল’ ক্ষুব্ধ দর্শকেরা

।। প্রথম কলকাতা ।।

আর কত অপমান সহ্য করবে মেঘ? ময়ূরীর মুখোশ খুলবে কবে? সৌরনীলের মেরুদন্ড কি এবার সোজা হবে? নাকি ভুল বুঝে মেঘের ওপর লাঞ্ছনা চালিয়েই যাবে সে? দিনের পর দিন ইচ্ছে পুতুলে মেঘের অপমান দেখে দেখে বিরক্ত দর্শকরা। দর্শকরা বলছেন, গল্পে কি বদল আসবে আদৌ? টিআরপি কম। তবুও জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির মধ্যে অন্যতম ‘ইচ্ছে পুতুল’।

কয়েক মাস হল শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটি। দুই বোনের গল্পে একজন নায়কের উপস্থিতি। নিজের মায়ের পেটের বোনের মধ্যেও যে এত হিংসা রেষারেষি থাকতে পারে সেই দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে ইচ্ছে পুতুল এর গল্পে। নিজের ছোট বোন মেঘের প্রতি মনে মনে মারাত্মক হিংসা পুষে রাখে দিদি ময়ূরী। বিয়ের পর থেকেই নানা রকম ভাবে মেঘকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে চলেছে ময়ূরী। বিষয়টা দিন দিন গুরুতর হয়ে উঠছে। প্রতিবার ময়ূরীর ষড়যন্ত্রে ধোঁকা খেয়ে নিজের স্ত্রীকেই অবিশ্বাস করে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে চলেছে নীল। এবারে বিষয়টা সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ দর্শকদের।

এবার সকলের সামনে মেঘের চরিত্রের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। প্রত্যেক বারের মতো এত শিক্ষা পেয়েও মেঘকে ভুলই বুঝেছে নীল। অন্যদিকে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মেঘকে চরমতম অপমানের ছক কষে চলেছে ময়ূরী। রূপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেঘের সঙ্গে অসভ্যতা করে আবার তার ঘাড়েই চাপায় চরিত্রহীনতার অভিযোগ। স্ত্রীকে বিশ্বাস করা তো দূরের কথা, উলটে তাকে যা নয় তাই বলে অপমান করছে নীল। এদিকে একই ঘটনার বারংবার পুনরাবৃত্তি দেখে দেখে বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ দর্শকরা।

মেঘ আর কত অপমান সহ্য করবে? আর তো নেওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই বক্তব্য দর্শকদের। ময়ূরী চরিত্রটির ওপরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দর্শকরা। মুখোশ খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। একই সঙ্গে সৌরনীলের মতো মেরুদণ্ডহীন একটা মানুষ মেঘের স্বামী হিসেবে মানায় না, এমনটাও দাবি করেছেন কয়েকজন। কিছু দর্শক লিখেছেন, মেঘের বারবার অপমান সহ্য করতে না পেরে সিরিয়াল দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। নির্মাতাদের উচিত এবার গল্পে বদল আনা। গল্পে নিত্য নতুন চমক এনে দর্শক ধরে রাখতে চান নির্মাতারা। সেই জায়গায় একই বিষয়ের ঘুরে ফিরে আসা দেখে তাঁরা ক্লান্ত বলে জানাচ্ছেন দর্শকরা। তাঁদের দাবি মেনে এবার কি গল্পের মোড় ঘুরবে? সেটাই এখন দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version