Amrish Puri: ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন! স্মরণে বলিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক অমরেশ পুরি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Amrish Puri: পর্দায় তাঁর চোখ দেখেই থমকে যায় মানুষ। ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’, এই তিনটে শব্দ বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাঁর মুখ। সাতের দশকে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর আগমণ। শুরুটা হয়েছিল নাট্যাভিনেতা হিসেবেই। কমপক্ষে ৪০০-রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বলিউড ছাড়া হলিউডেও দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। ৭২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান অমরেশ পুরি।

১৯৩২-এর ২২ জুন জন্ম হয় তাঁর। আসল নাম অমরেশলাল পুরি। ১৯৫৭-তে ঊর্মিলা দিবাকরকে বিয়ে করেন। তাঁদের পরিবারে দুই সন্তান, মেয়ে নম্রতা এবং ছেলে রাজীব। বলিউডে তাঁর জায়গা কেউ কোনদিন নিতে পারবে না। স্বপ্ন ছিল নায়ক হওয়ার, কিন্তু তা অধরাই থেকে গিয়েছে। খল চরিত্রে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। যদিও বাস্তবে তাঁর প্রেমিক সত্তা হার মানাবে পর্দার রোমান্টিক নায়ককেও। তাঁর দুই দাদা চমন এবং মদন পুরি বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন খলনায়ক হিসেবে। দুই দাদাকে দেখে পঞ্চাশের দশকে পঞ্জাব থেকে মুম্বই আসেন তিনি। প্রথম স্ক্রিন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে বসে না থেকে চাকরির চেষ্টা শুরু করেন। পেয়ে যান সরকারি চাকরিও, আর সেই চাকরি করতে গিয়ে দেখা হয় নিজের জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গে।

তিনি অভিনয় শুরু করেন পৃথ্বী থিয়েটারে। ধীরে ধীরে মঞ্চ জগতে পরিচিতি লাভ করেন এই অভিনেতা। জীবনের ৪০টা বসন্ত পার করে প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সত্তরের দশকে মূল খলনায়কের সহকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার পর তিনি হয়ে ওঠেন ইন্ডাস্ট্রির এক নম্বর খলনায়ক। ১৯৮০-তে ‘হাম পাঁচ’-এ অভিনয়ের দরুন নজর কাড়েন তিনি। ৮০-৯০-এর দশকে তিনি ছিলেন একমাত্র খলনায়ক ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘বিধাতা’, ‘মেরি জঙ্গ’, ‘ত্রিদেব’, ‘ঘায়েল’, ‘দামিনী’, ‘করণ অর্জুন’-এর মতো ছবিতে তাঁর চরিত্রগুলি আইকনিক হয়ে রয়েছে। এরই পাশাপাশি ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘ফুল অউর কাঁটে’, ‘পরদেশ’, ‘বীরাসত’, ‘ঘাতক’, ‘মুঝে কুছ কহেনা হ্যায়’- এর মতো ছবিতে তাঁর চরিত্র সমান গুরুত্ব পেয়েছে।

‘চাচি ৪২০’-এ তাঁর অভিনয় কখনোই ভোলার নয়। এছাড়া রিচার্ড অ্যাটেনবরো-র ‘গান্ধী’ এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অব ডুম’ তাঁর মুকুটে নতুন পালক যোগ করে। স্পিলবার্গ বলেছিলেন, তাঁর দেখা বিশ্বের প্রিয় খলনায়ক চরিত্রের অভিনেতা অমরেশ। তবে ব্যক্তিগত জীবনে পরিবারই তাঁর কাছে ছিল সব। কাজের পর একবার বাড়ি ফিরলে, তাঁর কাছে পরিজনই শেষ কথা। পর্দায় দুর্ধর্ষ খলনায়ক তখন হয়ে যেতেন স্ত্রীর আজ্ঞাকারী স্বামী। নায়ক না হতে পারার একটা আফসোস তো থেকে গিয়েছিলই, কিন্তু তিনি যাতে উৎসাহ না হারান তার সব চেষ্টা করে গিয়েছেন স্ত্রী ঊর্মিলা। ২০০৫-এর ১২ জানুয়ারি প্রয়াত হন এই অভিনেতা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version